×

মুক্তচিন্তা

বিএনপির উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টা কতটা সফল হবে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ১২:৩১ এএম

গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেশকিছু বক্তব্য প্রদান করছেন, যা গণমাধ্যমের কল্যাণে শোনা ও পড়ার সুযোগ হয়েছে। এসব বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা থাকবে, এটি খুবই স্বাভাবিক। বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির কাছ থেকে সরকারের সমালোচনা মানুষের জানার আগ্রহ থাকে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে এমন কিছু বক্তব্য প্রদান করে চলছেন যা রাজনৈতিক সমালোচনা নয় বরং দেশের রাজনীতিতে পারস্পরিক বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা, জিঘাংসা, ইতিহাস বিকৃতি, প্রতিপক্ষ দলকে হেয়প্রতিপন্ন করার যে মনোভাব প্রদর্শন করেছেন তা রাজনীতির বিশ্লেষণের দাবি রাখে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে করোনার মতো দেশের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশকে ধ্বংসকারী হিসেবেও এই দল এবং সরকারকে অভিহিত করেছেন। সরকারকে ফ্যাসিবাদী হিসেবেও দাবি করেছেন। অবশ্য এই দাবি তিনি সবসময়ই করছেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তিনি যেসব কথা বলেছেন সেগুলো তার দৃষ্টিতে সঠিক ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাসের দৃষ্টিতে তার ইতিহাস বিশ্লেষণ কতটা গ্রহণযোগ্য সেটি তিনি বিবেচনায় নেয়ার অবস্থানে কতটা আছেন তা নিয়েই প্রশ্ন জাগে। দেশ এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সরকার এবং জনগণ এই সংকট যার যার মতো করে মোকাবিলা করছে। জনগণের সব প্রত্যাশাই যে সরকার পূরণ করতে পারছে সেটি সরকার দলও বোধহয় দাবি করবে না। তবে গত দেড় বছর করোনাযুদ্ধে সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে তা একেবারেই কম বলা যাবে না। সারা বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ করোনা চিকিৎসায়, অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখা এবং জীবন-জীবিকাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে যতটা দক্ষতা দেখাতে পেরেছে তা অনেকক্ষেত্রেই প্রশংসার দাবি রাখে। ঘন জনবসতি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই সময়ে টিকা প্রদানসহ করোনার চিকিৎসায় যেসব পদক্ষেপ একে একে গ্রহণ করছে তার ফলে বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা অভিমত প্রকাশ করছে। সুতরাং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় সরকার বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট উদ্যোগ একের পর এক নিয়ে চলছে। সে কারণেই গত দেড় বছর করোনার এই ভয়াবহ সংকটকালে মানুষ করোনার সংক্রমণে যেভাবে গণহারে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করার পূর্বাভাস অনেক বিদেশি সংস্থা দিয়েছিল সেটি তেমনটি হয়নি। একইভাবে দুর্ভিক্ষ এবং খাদ্য সংকটেরও যেসব পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল সেটিও বাস্তবে ঘটেনি। কারণ ২০০৯-১০ সাল থেকে সরকারের কৃষি-অর্থনীতির যে কর্মকৌশল এখনো পর্যন্ত কার্যকরভাবে অব্যাহত আছে, তার ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের সক্ষমতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পেরেছে। এ বছরও দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে কোনো ঘাটতি হয়নি। এর পেছনে ছিল সরকারের কৃষিনীতি ও প্রণোদনাকে মাঠপর্যায়ে আগে থেকেই গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ। ফলে খাদ্যশস্যের সংকট এ বছর হয়নি। গত বছর ৫ বার বন্যা সংঘটিত হওয়ার কারণে আউশ এবং আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সে কারণে খাদ্যশস্যের যে ঘাটতি পড়েছিল সেটি পূরণ করতে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। তাতে বাজারে চালের কিছুটা ঊর্ধ্বমূল্য ছিল। তারপরও দেশে খাদ্যের কোনো হাহাকার সৃষ্টি হয়নি। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ যেমন অব্যাহত ছিল, একই সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সরকারি কৌশল বিপুলভাবে সমর্থিত হয়েছিল। এসব কারণে সরকার বৈশ্বিক মহামারির জটিল সময়ে দেশ এবং জাতিকে মোটামুটি সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে এমন দাবি বোধহয় সাধারণ মানুষের কাছে খুব বেশি শোনার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাছাড়া আওয়ামী লীগকে যখন দেশের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তখন মানুষের কাছে প্রতিভাত হয় যে বক্তা আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছিল সেটি বিস্মৃত করার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের একটি মতাদর্শ রয়েছে। এই মতাদর্শটি উদারবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং কল্যাণবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দর্শনে প্রভাবিত। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় যেসব আর্থসামাজিক নীতি ও কৌশল অনুসরণ করে আসছে, তাতে এসব মতাদর্শেরই প্রতিফলন ঘটেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শত্রুদল এমন বক্তব্য কেবলমাত্র তিনিই দিতে পারেন যিনি এসব ভূমিকায় নেতৃত্ব প্রদানকারী দলের ইতিহাসকে দেখেও অস্বীকার করেন। কিন্তু তিনি যে দলের এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন সেই দল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগই পায়নি। অধিকন্তু স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধী শক্তিকেই দলে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে, সরকারে অধিষ্ঠিত থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতিকে পরিচালিত করার নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে সরকার গঠন করে দেশকে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। এই কাজগুলো কি কোনো দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলে হতে পারে? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এমনকি এমপি এবং সরকারের সমালোচনা থাকতেই পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের শত্রু এই বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব নিজের এবং তার দলের যে বিদ্বেষপ্রসূত মনোভাব আওয়ামী লীগ সম্পর্কে পোষণ করে আসছেন সেটি অকপটে প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার অনেক কিছুই থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগকে ছাড়া অর্জন করা মোটেও সম্ভব হতো না এটি যে কোনো বিবেকবান মানুষ স্বীকার করবেন। কিন্তু যারা বিএনপি করেন তারা রাজনৈতিক কারণেই শুধু নয়, পরশ্রীকাতরতার কারণেও তা স্বীকার করেন না। কারণ ব্যক্তিগতভাবে এদের বেশিরভাগই স্বাধীনতা সংগ্রামের ২৩ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধেও অনেকই অংশগ্রহণ করেননি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করেননি। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের ভূমিকাকে অস্বীকার কিংবা মøান করার অপচেষ্টা অতীতেও তারা করেছেন এখনো করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১২ তারিখ গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা-উত্তরকালে আওয়ামী লীগের ভূমিকা সম্পর্কে যে দীর্ঘ বক্তৃতা করেছেন সেটি আগাগোড়াই আওয়ামী বিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম নায়ক’ এ ধরনের উদ্ভট তথ্য যিনি প্রদান করতে পারেন তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তো নয়ই, ইতিহাসেরও বিরোধী। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় বিএনপি স্বাধীনতার বন্ধু না শত্রু দল? মির্জা ফখরুলই নতুন করে এই প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করে তা রাজনীতি সচেতন মানুষ কমবেশি বোঝেন। নতুন করে মির্জা ফখরুল সাহেবের মনগড়া ইতিহাস বয়ান থেকে শেখার কিছু নেই। কিন্তু কেন তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মনগড়া ও বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে গেলেন সেটি এখন প্রশ্ন করাও অবান্তর এ কারণেই যে, বিএনপি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের ‘বিকৃত ইতিহাসই’ ধারণ করে এবং দলটি ক্ষমতায় গেলে সেটিই নতুন প্রজন্মকে শেখানোর চেষ্টা করবেÑ যা তারা অতীতেও করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে করোনা সংক্রমণের এই সময়ে সরকার উৎখাতসহ উত্তেজনাকর যেসব বক্তব্য প্রদান করছেন তার কী প্রতিক্রিয়া সমাজ এবং রাজনীতিতে পড়তে দেখা যাচ্ছে? আওয়ামী লীগ যথারীতি প্রতিদিন মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিবৃতি প্রদান করে। মূলত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই বিবৃতিগুলো দিয়ে থাকেন। পত্রপত্রিকায় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আগের দিন মির্জা ফখরুল যা বলেন পরদিন ওবায়দুল কাদের এবং ড. হাছান তার উত্তর দিয়ে থাকেন। এর বেশি তার কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না। মিডিয়াগুলো এই সময়ে করোনার বৈশ্বিক এবং দেশীয় সংক্রমণের বিস্তার নিয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া রাজনীতি ও সমাজে প্রভাব ফেলতে দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির মহাসচিব যেসব বক্তব্য প্রদান করছেন তা তার দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে দেখা যাচ্ছে না। মফস্বল এলাকায় বসবাসকারী বিএনপির নেতাকর্মীরা গণমাধ্যমে তাদের মহাসচিবের বক্তব্য শোনেন, কিন্তু তেমন কোনো আন্দোলন করার উৎসাহ-উদ্দীপনা এই মুহূর্তে তাদের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে না। যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সেখানকার নেতাকর্মীরা নিজেদের জীবন-জীবিকা নিয়েই ব্যস্ত আছে। সরকার উৎখাতে এই মুহূর্তে কোনো আন্দোলনে অংশ নেয়ার কোনো আগ্রহ তাদের মধ্যে সৃষ্টি করা যাচ্ছে না। যেখানে করোনার সংক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম সেখানকার নেতাকর্মীরাও জীবন-জীবিকা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। তাদের দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন বিদেশে। সুতরাং আন্দোলন-সংগ্রাম করা কিংবা সরকার উৎখাতের চিন্তা করার বিষয়টিও তাদের কাছে খুব একটা এই মুহূর্তের কাজ বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও মির্জা ফখরুল দলের মহাসচিব হিসেবে সরকার পতনের স্বপ্ন নেতাকর্মীদের দেখানোর চেষ্টা করছেন এবং করবেন- এটি মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে বিএনপির মহাসচিবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দায়িত্ব। গত বছর সরকার পতনের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। তবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব হেফাজতের কতিপয় নেতার কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছিল। এই বছরের শুরুতেও একই ঘোষণা এসেছিল কিন্তু ২৬-২৮ মার্চ হেফাজত যে তাণ্ডব করেছিল মির্জা ফখরুল তা সমর্থন করেছিলেন। এখন তিনি এক বক্তৃতায় সেই সময়ের তিন দিনের ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগকে হেফাজতের নয় সরকারের অপকর্ম বলে দাবি করেছেন। তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি হেফাজতের কর্মকাণ্ডকে আড়াল করার জন্যই এমন নির্জলা মিথ্যাচার করেছেন। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল রাজনীতিতে সত্য কথা বলার চর্চা কতখানি করছেন সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। তার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে দীর্ঘ বক্তৃতা একইভাবে সত্য নয় মিথ্যাচর্চারই ধারণা প্রদান করে। অথচ মির্জা ফখরুলকে অনেকেই রাজনীতিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি বলেই জানেন। তিনি অনেকের চাইতেই লেখাপড়ায় এগিয়ে আছেন বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। কিন্তু তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের যে বিকৃত ইতিহাস নিজে ও দলের হয়ে উপস্থাপন করেছেন তাতে তার জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চার প্রকাশ ঘটেনি। সে কারণেই তার বক্তব্যের প্রতি দলের বাইরের কোনো মানুষের মধ্যে আকর্ষণ ও আস্থার সৃষ্টি করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল এবং এর নেতারা রাষ্ট্র ও রাজনীতির চর্চায় সত্যবাদিতার প্রমাণ রাখতে পারছেন না। দল যদি হয় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস বিশ্বাসী তাহলে রাজনীতির সচেতন মহল এবং জনগণ সেই রাজনীতি এবং দল থেকে বিমুখ হতে বাধ্য। সেই দলের আন্দোলনের ডাক অনেকটাই নীরবে হারিয়ে যায়। সুতরাং বর্তমানে রাজনীতিতে বিএনপির মহাসচিব সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিদিন যে উত্তাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তা তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে বলে মনে হয় না।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App