নাচে গানে নগরে বর্ষাবরণ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ১১:১১ এএম
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বর্ষা উৎসব পালিত। ছবি: ভোরের কাগজ
সকালজুড়েই আকাশটা ছিল বৃষ্টির দখলে। এমন বৃষ্টিমুখর সকালেই পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি স্কুলের পাশে সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনটি বর্ষা আবাহণের মুখরতায় জেগে উঠেছে। বৃষ্টির মধ্যেই চলে নাচ, গান, আনন্দ ও কথামালা। কোভিটের কারণে কোথাও অনুমতি না পাওয়ায় এবারই প্রথম স্থানচ্যুত হয়েছে বর্ষার এ আয়োজন। তবে মুখর বর্ষাই যেন ভরসা হল অদম্য আয়োজকদের।
প্রবীণ শিল্পী হাসানুর রহমান বাচ্চুর হাওয়াইন গিটারে বর্ষার সঙ্গীত বাদনের মধ্য দিয়ে এ বর্ষা উৎসবের শুভ সূচনা হয়। এরপর রজনীকান্তের প্রার্থনা সঙ্গীত ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মোছায়ে’, এবং ‘বরিষ ধারা মাঝে শান্তির বারি’। পৃথিবী নতুন জায়গায় আবার ফিরে যাক এমন প্রত্যাশা এবং করোনায় সকল মানবের উদ্দেশ্যে যেসব প্রণম্য ব্যক্তি মৃত্যুরবণ করেছেন তাদের স্মরণ করা হয়।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বর্ষা কথন পর্বে অংশগ্রহণ করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, প্রকৃতির প্রতি যদি আমরা সদয় না হই, প্রকৃতিকে যদি আমরা লালন না করি, প্রকৃতির মধ্যে যদি না যাই প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। কোভিট-১৯ তারই একটা অংশ। প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য এ ধরণের আয়োজন জরুরি। যে তরুণটি আজ বড় হচ্ছে সে জানে না কোন মাসে আকাশ কি রকম হয়, কোন ঋতুতে কি ফসল ফলে, কি ফল হয়, তাদের প্রকৃতিবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এবং একটা প্রকৃতিবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এমন আয়োজন খুবই জরুরি।
মুক্তিযুদ্ধের যে মূল উদ্দেশ্য ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করতে হলে এ ধরণের আয়োজনের কোন বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
উৎসবে একক রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মহাদেব ঘোষ, লোক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আবু বকর সিদ্দিক, নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন, নবনীতা জাইদ চৌধুরী ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনিমা রায়, আধুনিক গান করেন টিটু আলী, শ্রাবণী গুহ রায়। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশ করেন বাফা, ওয়াইজঘাট ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন বাফা ও স্পন্দন। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন বেলায়েত হোসেন, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি ও আহসান উল্লাহ তমাল।