×

জাতীয়

দলে জ্ঞানভিত্তিক চর্চা আরো বাড়াতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ০৯:১৪ এএম

দলে জ্ঞানভিত্তিক চর্চা আরো বাড়াতে হবে

আফজালুর রহমান

৭২ বছর পূর্ণ হলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের। এই মহেন্দ্রক্ষণে দলটি সম্পর্কে কী ভাবছেন সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ভোরের কাগজের কাছে এ নিয়ে বলেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। লিখেছেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেছেন, ৭২ বছরের আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী, টেকসই ও অধিকতর জনপ্রিয় করতে হলে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক চর্চা আরো বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা তিনটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চীন’ ভালোভাবে পড়তে হবে। আত্মস্থ করতে হবে। তাহলে এই দল ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তাচেতনার পাশাপাশি তার অবদান সম্পর্কে নেতাকর্মীরা জানতে পারবেন। নিজেকে সৎ, যোগ্য ও পরীক্ষিত কর্মী হিসেবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারবে। তাহলেই আওয়ামী লীগ আরো শক্তিশালী দল হবে।

৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বক্ষণে ভোরের কাগজের কাছে দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে এভাবেই নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি। সাক্ষাৎকারে দলটির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন তিনি। আফজালুর রহমান বাবু বলেন, সবার জানা উচিত আওয়ামী লীগ, দেশ ও মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর কী পরিমাণ ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও একাগ্রতা ছিল। উনি পরিবারের দিকে তাকাননি। ব্যক্তিগত স্বাদ-আহ্লাদের দিকে তাকাননি। বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তার একটাই চাওয়া ছিল, বাঙালির মুক্তি। সেজন্যই জীবনের মায়া করেননি। রাজনৈতিক কর্মীদের এসব জানতে হবে।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে তিনি বলেন, সময় ও জাতির প্রয়োজনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। এই সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী ছিল। বঙ্গবন্ধু দলটির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েই বাঙালির অধিকার আদায়ে কাজ শুরু করেন। ধাপে ধাপে স্বাধীনতা এনেছেন। আওয়ামী লীগের জন্যই স্বাধীনতা পেয়েছি। চলার পথে বহু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন, কিন্তু থেমে থাকেননি।

আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বের দক্ষতা সম্পর্কে তিনি বলেন, অল্প বয়সে দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা দলকে মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন। শেখ হাসিনাই একমাত্র মুক্তির দিশারী। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশকে এই জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে, দেশ পরিচালিত হচ্ছে। বাঙালি অধিকার ফিরে পেয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতকে পেছনে ফেলে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। যদি শেখ হাসিনা না থাকেন, জানি না, তখন কী হবে। তবে বিশ্বাস করি, আমরা যদি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে ফলো করি, তবেই আওয়ামী লীগ নামক অনুভূতির সঙ্গে সবসময় এক থাকতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির নেতাকর্মীদের কঠিন দুঃসময় ছিল। পুরো জাতি দিশেহারা ছিল। তখন দলটির নেতারা নানা গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত ছিল। সম্মেলনে মারামারি, দলাদলি, নেতাদের বাসায় বাসায় হাজিরা দেয়া। সেই অবস্থা থেকে ১৯৮১ সালে দলটি মুক্তি পেয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার পর। টানা ৪০ বছর সুযোগ্য নেতৃত্ব, সুচিন্তিত মতামত, ভালোবাসার কর্মীদের প্রেমের কারণে তিনি আজকের আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন। তৃণমূলের প্রতিটি এলাকায় তার পদচারণা। ঘুরে ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মধ্যম আয়ের হয়েছে। তিনি উন্নত দেশ গড়ছেন। ডেল্টা প্ল্যান করেছেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চাওয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা আরো বেশি আস্থাশীল হই। আমাদের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক ও জ্ঞানী-গুণী আছেন- সবার কাজ করা উচিত। আমরা যদি সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করি, তবেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সার্থকতা আসবে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, আওয়ামী লীগ ততদিনই থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App