খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে: নজরুল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ০৩:৫৬ পিএম
রাজধানীর এভার কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
নজরুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, উনাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয় নাই, এদেশের লক্ষ কোটি মানুষের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে কোটি কোটি ভোটের ব্যবধানে তিনি এদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজকে সেই প্রধানমন্ত্রী অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ধুকে ধুকে মরছেন। উনার সুচিকিৎসা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা উনার চিকিৎসা কথা বলেছি, আমরা বিদেশে নেওয়ার কথা বলেছি-আমরা অনুরোধ করেছি। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা চিকিতসা করতে দেবে না। আমরা আজকেও এসভা থেকে বলতে চাই যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দিন এবং নিপুণ রায় চৌধুরীকে মুক্তি দিন।
নজরুল বলেন, নিপুণ রায়ের প্রতি যে অন্যায় তারা(সরকার)করেছে আমরা তার প্রতিবিধান চাই। আমি চাই যে, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। সরকার তার রাজনৈতিক স্বার্থে না হয় অপরাধ করেছে। আমরা আশা করবো, আদালত পবিত্র স্থান। সেখানে অন্তত সে সুবিচার পাবে।
তিনি বলেন, আমরা জানি যে, নিপুণ রায় চৌধুরীর একটা ছোট মেয়ে আছে। সেই মেয়ের কাছ থেকে তার মাকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন করে রাখা-এটা খুব বিশাল অমানবিক রাজনীতি। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, নিপুণ রায় চৌধুরীর মতো নেত্রীদেরকে গ্রেপ্তার করে, অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম করা হয়েছে, এসব করার পরেও শহীদ জিয়ার আর্দশের সৈনিকেরা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কর্মীরা, তারেক রহমানের ভাই এবং বোনেরা ভয় পায় নাই, ভয় পায় না। বিএনপি ভাঙেও নাই, বিএনপি দুর্বলও হয় নাই। কাজেই নিপুণ রায়কে গ্রেপ্তার করে রেখে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে এটা ভাবার কোনো কারণ নাই।
সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আফরোজা আব্বাস, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।