×

জাতীয়

আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২১, ০৯:০৮ এএম

আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে

নির্মল রঞ্জন গুহ

৭২ বছর পূর্ণ হলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের। এই মহেন্দ্রক্ষণে দলটি সম্পর্কে কী ভাবছেন সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ভোরের কাগজের কাছে এ নিয়ে বলেছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। লিখেছেন মুহাম্মদ রুহুল আমিন।

আওয়ামী লীগ আমাদের প্রাণের দল, ভালোবাসার দল, জনগণের আকাক্সক্ষার দল। এ দলে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘আমার দলে সর্বোচ্চ জ্ঞানীরা আছেন, আবার বড় পাগলও আছেন। এ দলে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সমন্বয়’। এভাবে সবাইকে সমন্বিত করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারই যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আগামীর আওয়ামী লীগকে টেকাতে হলে এখন থেকেই পরিচ্ছন্ন, আদর্শবান ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে প্রাচীনতম এ দলটি সম্পর্কে এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা ভোরের কাগজের কাছে তুলে ধরেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। দলটির অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও বলেন তিনি। নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনা ৪০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনা তার যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগে আগামী দিনের নেতৃত্ব তৈরি করবেন। যারা ভবিষ্যতে এই দল পরিচালনা করবেন। তবে এ দলে এখন শেখ হাসিনার বিকল্প তিনি নিজেই। আমার বিশ্বাস ঐতিহাসিক আওয়ামী লীগ সব চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালির ইতিহাস আওয়ামী লীগের ইতিহাস। বাঙালি জাতি ভাগ হয়েছে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। ব্রিটিশদের পতনের পর ভারতবর্ষের যে ভাগ হয়েছে, সেটাই আমার কাছে অসামঞ্জস্য মনে হয়েছে। কোনো জাতি ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হতে পারে না। বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই বাংলায় কথা বলি। আমরা একই শ্রষ্টার সৃষ্টি, সামাজিক অবস্থা একই রকম। শুধু ধর্মীয় আচারগুলো ভিন্নভাবে পালন করি। উৎসবে সবাই এক। আওয়ামী লীগ বাঙালির অধিকার আদায় ও কৃষ্টি-কালচার রক্ষার দল। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এ দলের জন্ম। বঙ্গবন্ধু জানান দিয়েছেন আওয়ামী লীগ হবে জনগণের দল। এর সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। এজন্য তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করেছেন। ’৭০-এর নির্বাচনে এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষে রায় দেয়।

তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছিল। বাংলাদেশকে তার মূল নীতি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা এ দলের দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কাগজে-কলমে ফিরে আসতে না পারলেও, অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই দেশ পরিচালনা শুরু করেন তিনি। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে এ দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল। তারা যখনই সুযোগ পেতেন, এ দলকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করেছেন। শেখ হাসিনা সেখান থেকে ফেরাতে পেরেছেন, দেশ পরিচালনা করছেন।

আগামীর আওয়ামী লীগকে কেমন দেখতে চান, জবাবে নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক ভিত্তিই ছিল এ দলের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগকে টেকাতে হলে সংগঠন শক্তিশালী ও গতিশীল করার কোনো বিকল্প নেই। পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় প্রচুর আদর্শহীন ব্যক্তি এ দলে ঢুকেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এটা অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। স্বেচ্ছাসেবক লীগ আগামীর আ.লীগের জন্য যোগ্য, আদর্শবান, পরিচ্ছন্ন কর্মী তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সফল হব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App