×

রাজধানী

সারাদেশে গ্যাস সংকট কাটবে মঙ্গলবার থেকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ০৯:১৩ পিএম

জাহাজ থেকে এলএনজি খালাশ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে এলএনজি বাহি জাহাজ মহেশখালির টার্মিনালে ভিড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবারের মধ্যে গ্যাস সংকট কাটবে বলে পেট্টোবাংলার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরের দিকে ‘আগামী ৩ দিন সারাদেশে গ্যাস সরবরাহে সংকট থাকতে পারে’ বলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশঙ্কার বিষয়টি জানিয়েছিলো।

পেট্রোবাংলার হিসাবে গত রোববার দেশে ২ হাজার ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা ছিলো। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ২০০ ঘটফুট সরবরাহ করা হয়েছে। একারনেই রাজধানীসহ সারাদেশে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।

তিতাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারনে জাহাজ থেকে এলএনজি খালাস না হওয়ায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে এবং সরবরাহ বিগ্নিত হচ্ছে। এলএনজি নিয়ে জাহাজ সমুদ্রে রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখন সাগর উত্তাল থাকায় এলএনজিবাহি জাহাজ থেকে গ্যাস খালাসে বিঘ্ন ঘটছে। এজন্য ১৪ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত তিনদিন আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক কাজে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটবে। সাময়িক এই সমস্যার জন্য তিতাস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির পরিচালক (অপারেশন্স) তাজুল ইসলাম মজুমদার জানান, প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি পাওয়া যেতো। গত রোববার থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো পাওয়া গেছে। রোববার বিকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। একারনে সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে সোমবার দুপুরের পরে পেট্টোবাংলা সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরের দিকে এলএনজি নিয়ে জাহাজ টার্মিনালে ভিড়েছে এবং গ্যাস খালাস শুরু করেছে। মঙ্গলবারের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) আলী মো. আল-মামুন জানিয়েছেন, স্টক কমে যাওয়ায় গত রোববার থেকে এলএনজি সরবরাহ ৪০০ ঘনফুটে নামিয়ে আনা হয়েছিলো। একারনে গ্যাস সংকট দেখা দেয়। সোমবার দুপুরের দিকে এলএনজি নিয়ে জাহাজ টার্মিনালে ভিড়েছে। গ্যাস খালাশ শুরু হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই আরো ২০০ ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ বাড়িয়ে এখন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট করেছি। এরফলে সংকটের যে আশঙ্কা করা হয়েছিলো তা অনেকটাই কেটে যাবে। আগামীকালের মধ্যেই অবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, সাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই এলএনজিবাহী কার্গো বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়ে। জাহাজ থেকে গ্যাস খালাস করা সম্ভব হয়নি। গত ৯ জুন থেকে কয়েকবার চেষ্টার পরেও কাতার থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার কিউবিক মিটার এলএনজি নিয়ে আসা জাহাজের সঙ্গে এলএনজি টার্মিনালের সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। একারনে এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশনের মজুত কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে যায়। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে সারাদেশে তীব্র গ্যাস সঙ্কটের সম্ভাবনা ছিলো।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি ও সামিটের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। প্রতিটি টার্মিনালে প্রতিদিন ৫০০ করে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি রি-গ্যাফিকেশনের সক্ষমতা রয়েছে। টার্মিনাল দুটির ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৭৬ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App