×

খেলা

রাতে দুই চিরশত্রু আর্জেন্টিনা-চিলি দ্বৈরথ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ০৯:২৪ পিএম

রাতে দুই চিরশত্রু আর্জেন্টিনা-চিলি দ্বৈরথ

ফুরফুরে মেজাজে আজেন্টিনার খেলোয়াড়রা।

আর্জেন্টিনা ও চিলির ম্যাচ মানেই অন্য রকম উত্তেজনা। ফুটবল মাঠে চির শত্রু দুই প্রতিদ্বন্দ্বির ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে থাকেন সারা বিশ্বের ফুটবল অনুরাগীরা। সেই চিরশুত্রু চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আজ কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নামছে লিওনেল স্কালোনির দল। ব্রাজিলের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় শুরু হবে দুদলের ম্যাচটি। তবে চিলির বিপক্ষে ২০১৬ সালে পেনাল্টি মিস না করলে লিওনেল মেসির নামের পাশে আজ রাতে একটা কোপা আমেরিকা ট্রফি থাকতে পারত। শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালের আসরেও চিলির কাছে কোপার ট্রফি খুইয়েছিল মেসি বাহিনী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাই মেসি আর আর্জেন্টিনার জন্য ‘ভিলেন’ হিসেবেই পরিচিত আলেক্সিস সানচেজ-আর্তুরো ভিদালদের দল!

এছাড়া আর্জেন্টিনা এবং চিলি এখন পর্যন্ত ৯৩টি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্য চিলির জয় মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচে। তবে তারা যে কয়টি ম্যাচে জয় পেয়েছে তার সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনাল ও একটি ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে। ৯৮ ম্যাচের মধ্য আর্জেন্টিনার জয় ৬১ ম্যাচে। ২৪টি ম্যাচ হয়েছে ড্র। চিলি জিতেছে মাত্র ৮ ম্যাচে। দুদলের সর্বশেষ পাঁচ দেখায় চিলি জিতেছে এক ম্যাচে, মেসিদের জয় দুই ম্যাচে। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। এর মধ্য সর্বশেষ ম্যাচটি সপ্তাহখানে আগে খেলেছে তারা, যা ছিল কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি চিলির বিপক্ষে এখন পর্যন্ত করেছেন পাঁচ গোল।

এদিকে সপ্তাহখানেক আগে কোভিড-১৯ পজেটিভ হয়েছিলেন ম্যানসিটি থেকে বার্সায় পাড়ি দেয়া আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। তাই চিলির বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে তার থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এমন অবস্থায় মেসির সঙ্গে আক্রমণভাগে কে থাকবেন সেটাই আর্জেন্টাইন টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম মুন্ডো আলবিসেলেস্তে জানাচ্ছে, আগুয়েরো খেলতে না পারলে মেসির সঙ্গে ফরোয়ার্ড লাইনে থাকবেন ইন্টার মিলানের লতারো মার্তিনেজ। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ইন্টারের হয়ে লিগ শিরোপা জিতেছেন তিনি। পুরো মৌসুমজুড়ে দলের হয়ে সব মিলিয়ে করেছেন ১৯ গোল।

এবারের আসরে আর্জেন্টিনা ভুগতে পারে রক্ষণভাগের সমস্যায়। আলবিসেলেস্তে শিবিরের আক্রমণভাগ আর রক্ষণভাগ যেন মুদ্রার এপিট-ওপিট। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা যতটা আশা জোগান ততটাই হতাশ হতে হয় রক্ষণভাগের দিকে নজর দিলে। গেল কয়েকটি টুর্নামেন্টেও তার ছাপ পড়েছে। এবার দেখার বিষয় আনকোড়া রক্ষণভাগ নিয়ে কতদূর আগাতে পারে টিম আর্জেন্টিনা। রক্ষণভাগে অভিজ্ঞদের মধ্য একমাত্র আছেন নিকোলাস ওতামেন্দি। প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজও কোভিড-১৯ পজেটিভ। তাই দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক নিয়েই শুরুর কয়েকটি ম্যাচ খেলতে হবে মেসিদের। অথচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোর আমলে কত সবলই না ছিল তাদের রক্ষণভাগ।

আক্রমণভাগের মতো আর্জেন্টিনার মধ্যভাগও শক্তিশালী। জিওভানি লো সেলসোর পাশাপাশি লিয়ান্দ্রো প্যারাদেস ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও রয়েছেন এখানে। মেসিও তো আক্রমণভাগে লিড দেয়ার পাশাপাশি হুট করেই গোল-অ্যাসিস্টে অবদান রাখেন। অন্যদিকে চিলির দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। মেসির মতো তারকা না থাকলেও তাদের খেলার ধরনটা অনেকটা টিম হিসেবে। একক কারো ওপর নির্ভরতা নেই তাদের। আর্তুরো ভিদালদের নিয়ে গঠিত দলটি সব দিক বিবেচনায়ই আর্জেন্টিনার জন্য ভয়ের কারণ। সাম্প্রতিক সময়ে চিরির মধ্যমাঠের প্রাণ হয়ে উঠেছেন ভিদাল, যিনি কিনা বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলার পর এখন ইন্টার মিলানের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। এই দলটির সঙ্গে তিনি সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে সিরি আর স্বাদও নিয়েছেন। চিলির গোলপোস্টে রয়েছেন অভিজ্ঞ ক্লাউদিও ব্রাভো। দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা প্লেয়ার তিনি। আলেক্সিস সানচেজের কথা তো বলতেই হয় না, দলের সর্বোচ্চ গোল নিজের করার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও তার দখলে। ইন্টার মিলানের এ ফরোয়ার্ড এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, বার্সেলোনা ও রিভারপ্লেটের মতো ক্লাবের হয়ে খেলে এসেছেন। সবমিলিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের একটি ম্যাচ আশা করতেই পারেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App