×

বিনোদন

মদ্যপ অবস্থায় থানায় আসেন পরী মনি: পুলিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ১০:৪২ এএম

মদ্যপ অবস্থায় থানায় আসেন পরী মনি: পুলিশ

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে পরী মনি বনানী থানায় মদ্যপ অবস্থায় এসেছিলেন।

মদ্যপ অবস্থায় থানায় আসেন পরী মনি: পুলিশ

জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরী মনি অভিযোগ করেছেন, ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি এমনও অভিযোগ করেন, সহযোগিতার জন্য বনানী থানায় গেলে তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি পুলিশ। বনানীর নিজ বাসায় রোববার (১৩ জুন) রাতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘বুধবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে পরী মনি বনানী থানায় এসেছিলেন। ওই সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় কারও অভিযোগ নেওয়া যায় না।’

ওসি নূরে আযম মিয়া আরও বলেন, ‘সেদিন মধ্যরাতে থানার দায়িত্বে থাকা ডিউটি অফিসার আমাকে জানান, পরী মনি মদ্যপ অবস্থায় বলেছিল যে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছে। তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তবে তার কথায় নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এমতাবস্থায় ডিউটি অফিসার পরী মনিকে প্রথমে চিকিৎসা নিতে বলেন। চিকিৎসার পর অভিযোগ শোনার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর পুলিশের একটি দল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে (অ্যাপোলো হাসপাতাল) নিয়ে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে পরী মনি আর অভিযোগ করেননি।’

ওসি বলেন, ‘বেসামাল অবস্থায় অভিযোগ নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা রোববার রাত পর্যন্ত তাকে বেশ কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। তিনি মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

এদিকে, পরী মনির বনানীর বাসায় বনানী থানা পুলিশের সঙ্গে সাভার থানা পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত হয়েছেন। ঘটনাস্থল ঢাকা বোট ক্লাব হওয়ায় সাভার থানা পুলিশ বিষয়টি দেখবে বলে জানা গেছে।

তবে বনানীর নিজ বাসায় রোববার রাত সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এ নায়িকা। তিনি বলেন, বুধবার রাতে উত্তরার বোট ক্লাবে ঘটনাটি ঘটে। নাসির উদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে এ ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।’

পরী মনি বলেন, এমন ঘটনায় সাধারণ মেয়েরা প্রথমে থানায় যায়। আমিও থানায় গিয়েছি। আমি বারবার বলেছি, ঘটনাটা যদি নিজের সঙ্গে না ঘটে তাহলে কেউ বুঝবে না। ওইদিন পর্যন্ত কি তবে অপেক্ষা করবেন?

ঘটনা প্রসঙ্গে উপস্থিত সাংবাদিকদের পরী মনি বলেন, ‘আমার মুখটা সাদা কাপড়ে ঢাকা পড়লেই কেবল বুঝতেন। আমি চার দিন ধরে কারও সাপোর্ট পাইনি। আপনারা সত্যিটা খোঁজেন।’

পরী মনি আরও বলেন, ‘সাধারণ কোনো মেয়ের হলে সে খবর হয়তো আপনাদের কাছে পৌঁছায় না। সাংবাদিকদের কাছে খবর পৌঁছানো হয় না। আমার মতো যখন কোনো মেয়েকে ভয় দেখানো হয় তখন সাধারণ মেয়ের খবর তো পাবেন না!’

তিনি বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত থেকে আটজনের একটা গ্রুপ ছিল। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ মাহমুদ)। তিনি বোর্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।

‘নাসির উদ্দিনসহ (নাসির ইউ মাহমুদ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী) উপস্থিত সাত থেকে আটজন আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমাকে আটকে ফেলে। জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। জিমিকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ মাহমুদ) তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন পরী মনি।’

‘ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে যাই’ উল্লেখ করে পরী মনি বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।’ এ সময় পুলিশের সাহায্যে হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন বলে উল্লেখ করেন পরী মনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App