×

জাতীয়

রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি চাকরি না দেবার সুপারিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২১, ০৫:২৪ পিএম

রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি চাকরি না দেবার সুপারিশ

ফাইল ছবি

পৃথিবীর যেসব দেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করেছে তাদের অধিকাংশ দেশে রাজাকার বা স্বাধীনতা বিরোধীদের পরবর্তি প্রজম্মকে সরকারি চাকরি না দেবার নীতি রয়েছে। যেমন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ইত্যাদি দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান সন্ততিদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয় না। বাংলাদেশেও ‘৭১ এ স্বাধীনতা বিরোধী বা রাজাকারদের সন্তানদের সরকারি চাকরি না দেবার সুপারিশ করেছে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

রবিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে সঠিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে তাদের নামে গ্রামে-গঞ্জের রাস্তাঘাটের ও স্থাপণার নামকরণের কথাও বলেছে কমিটি।

কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

কমিটির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, বিশ্বের যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে তাদের নীতি বা আইন অনুসরণ করে রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরি এবং রাজাকার বা স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান বা পরবর্তি প্রজম্মকে যাতে সরকারি চাকরি না দেওয়া হয় সে বিষয়ে কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। এসময় তিনি বলেন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেছে, তারা তাদের পার্লামেন্টে এমন আইন পাশ করেছে, যাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা সরকারি চাকরি না পায়। আমাদের দেশেও এ আইন পাশ করার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।

ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সঠিক ভাবে তৈরি করার কথা বলা হলেও এখনো তা সম্পূণর্ষ হয়নি। দ্রুত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কথা বলেছে কমিটি। এছাড়া রাজাকারদের তালিকা তৈরির যে উদ্যোগ মন্ত্রণালয় নিয়েছে তা যতটা সম্ভব দ্রত শেষ করার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও এটা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেছে কমিটি।

বৈঠকে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’ এর তহবিল গঠনে কোন কোন উৎসকে প্রতিষ্ঠার সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল মন্ত্রণালয়কে তার বিবরণী আগামী বৈঠকে সবিস্তারে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত হাসপাতালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করানো হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ঔষধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা থেকে উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ এবং বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যেকরণ বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠান নির্ধারণের লক্ষে সভাপতিকে আহবায়ক করে মোট ৬ সদস্য সংখ্যক একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App