×

জাতীয়

স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা ফ্যাশন: টিআইবিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ০৮:৪২ পিএম

ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ-এর (টিআইবি) স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন মিথ্যা তথ্যে ভরা দাবি করে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, করোনাকালীন সংকটে দেশের স্বাস্থ্য খাত যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, তখন টিআইবি স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ে একটি অসত্য রিপোর্ট তুলে ধরেছে। টিআইবির রিপোর্টটি আগাগোড়াই ভুল তথ্যে ভরা।

করোনায় মারা যাওয়া হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (১২ জুন) এক ভার্চ্যুয়াল কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা অনেকের কাছেই এখন একটি ফ্যাশন। অথচ বেসরকারি হাসপাতালের টেস্টিং জালিয়াতি, একজন ড্রাইভার বা নিম্নপদস্থ কর্মচারীর দুর্নীতি বা বিচ্ছিন্ন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে অস্বচ্ছতার খবর ছাড়া কেউ স্বাস্থ্য খাতের বড় কোনো দুর্নীতি দেখাতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে যারাই স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম করেছে, তাদেরই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার দুঃসময়ে টিআইবি মাঠে নেমে কোনো কাজ করেনি। মাঠে কাজ করেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য সম্মুখ সারির যোদ্ধারা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে বসে তারা মুখস্থবিদ্যার মতো ঢালাওভাবে স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনা করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিআইবি বলেছে দেশে করোনা পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানো হয়নি। অথচ দেশে করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র মাত্র ১টি থেকে এখন ৫১০টি করা হয়েছে। টিআইবি বলেছে, হাসপাতালগুলোতে করোনা বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি, অথচ এখন দেশে করোনার বেডসংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।

কিছুদিন আগেও ঢাকা নর্থ সিটি করপোরেশন হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার নতুন কোভিড ডেডিকেটেড বেড বাড়ানো হয়েছে, যেখানে প্রায় সবই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাপ্রাপ্ত এবং সেখানকার অর্ধেকসংখ্যকেই আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। টিআইবি বলেছে, দেশে আইসিইউ বেডসংখ্যা বাড়েনি। অথচ করোনার শুরুতে দেশে ২০০টির মতো আইসিইউ বেড ছিল। আর এখন এ ধরনের বেডসংখ্যা ১ হাজারের বেশি।

টিআইবি ভারতের সঙ্গে টিকা ক্রয় চুক্তিতে অস্বচ্ছতার কথা বলেছে, যা মোটেও সত্য নয়। ভারতের সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার ও উন্মুক্ত।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তারা (টিআইবি) কেবল সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করেছে, কিন্তু করোনা কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য তারা করেনি। কারণ, তারা করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রচারণা বা ভূমিকাই রাখেনি।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এ বি এম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App