×

খেলা

কোপায় আলো ছড়াবেন যারা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ১১:১৪ পিএম

কোপায় আলো ছড়াবেন যারা

ফাইল ছবি

কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা
কোপায় আলো ছড়াবেন যারা

কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসরের পর্দা ওঠছে রবিবার থেকে। উদ্বোধনী ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৩টায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার এস্তাদিও ন্যাসিওনাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুদলের ম্যাচটি। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চলুন জেনে নেয়া যাক এবারের কোপায় খেলতে যাওয়া লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের হিরোদের সম্পর্কে। অবধারিতভাবে এই তালিকায় প্রথমেই আসবে লিওনেল মেসির নাম। তর্ক সাপেক্ষে বর্তমান ফুটবলারদের মধ্য সেরা খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সম্ভবত এবারের আসরটি তার শেষ কোপা আমেরিকাও। নেইমারও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। স্মরণকালে উরুগুয়ের সেরা খেলোয়াড় লুইজ সুয়ারেজ। চিলিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করতে আলেক্সিস সানচেজের অবদান কোনো অংশেই কম নয়। হামেস রদ্রিগেজ এবার কোপা আমেরিকায় খেলছেন না, তার অনুপস্থিতিতে হুয়ান কুয়াদ্রাদো দলকে লিড দিতে পারেন সামনে থেকে। বলিভিয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা মার্সেলো মরেনো, নিঃসন্দেহে তিনিই দলের বড় হিরো। প্যারাগুয়ের অ্যাঞ্জেল রোমেরো দলের উল্লাসের কারণ হতে পারেন কোপায়। ভেনেজুয়েলার জোসেফ মার্তিনেজকে সেই তালিকা থেকে কোনোভাবেই বাদ দেয়া যায় না। ইকুয়েডরের এনার ভ্যালেন্সিয়া ও পেরুর ক্রিশ্চিয়ান কুয়েভাও গুরুত্বপূর্ণ দলের জন্য।

লিওলনে মেসি: আর্জেন্টিনার তো বটেই, লিও মেসি ফুটবল বিশে^রই সেরা খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে বলাও যে কোনো ক্ষেত্রে কম হয়ে যাবে। বার্সেলোনার প্রায় সব রেকর্ডেই জড়িয়ে আছে তার নাম। তবে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে এখনো একটি শূন্যতা রয়ে গেছে তার। জাতীয় দলের হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা হয়নি এই জাদুকরের। এবার কি সেই খরা কাটাতে পারবেন তিনি? আর্জেন্টিনাকে এনে দিতে পারবেন দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত মুকুট?

নেইমার: মাঠ হোক কিংবা মাঠের বাইরে, সবখানেই আলোচনার শীর্ষে থাকেন নেইমার জুনিয়র। গত কোপা আমেরিকায় না খেললেও এবার দলের সবচেয়ে বড় ভরসার পাত্র তিনিই। তার ওপর ব্রাজিলের সমর্থদের প্রত্যাশার পারদও খানিকটা উপরে। দেখার পালা দলকে কতদূর নিয়ে যেতে পারেন পিএসজি।

লুইস সুয়ারেজ: ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে খেলাদের মধ্য লুইস সুয়ারেজ অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। এবার তো অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে লা লিগার শিরোপাই জিতলেন তিনি। ছিলেন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে। এবার অপেক্ষা জাতীয় দলকে উপহার এনে দেয়ার। তার ওপর উরুগুয়ের আস্থাও আকাশচুম্বি।

আলেক্সিস সানচেজ: ২০১৫ চিলিকে কোপা আমেরিকা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আলেক্সিস সানচেজ। আর্থুরো ভিদালের মতো তার আশায়ই নির্ভার চিলিয়ানরা। ক্লাব ফুটবলের জড়তাকে পেছনে ফেলে সানচেজ আরেকবার জ¦লে ওঠুন এমনটাই চান ফুটবলপ্রেমীরা। হুয়ান কুয়াদ্রাদো: ফুটবলপ্রেমী মাত্রই কুয়াদ্রাদোকে চেনার কথা। যার পাস কিংবা অ্যাসিস্টে বুদ হয়ে থাকেন জুভেন্টাস সমর্থকরা। মূলত ডিফেন্ডার হলেও আক্রমণে হুটহাট উঠে যেতে কুয়াদ্রাদোর জুড়ি মেলা ভার। হামেস রদ্রিগেজের অনুপস্থিতিতে তার ওপরেই দলের সবকুটু দায়িত্ব!

মার্সেলো মরেনো: মার্সেলোনা বলিভিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এবার কোপা আমেরিকা হয়তো তার শেষ আসরও। ফলে টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে অন্য রকম মনযোগই থাকবে তার। দেখার পালা দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারেন কিনা তিনি।

অ্যাঞ্জেল রোমেরো: প্যারগুয়ের ফরোয়ার্ডদের মধ্য অন্যদের থেকে একটু বেশি ভার্সাটাইল অ্যাঞ্জেল রোমেরো। যে কোনো মুহূর্তে দলের জয়-পরাজয়ে অবদান রাখার মতো খেলোয়াড় তিনি। এবার কোপা আমেরিকায়ও কি সে রকম কিছু করতে পারবেন তিনি? তা দেখা শুধু সময়ের ব্যাপার!

জোসেফ মার্তিনেজ: ভেনেজুয়েলার তারকাদের মধ্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী জোসেফ মার্তিনেজ। গোলের জন্য কোপা আমেরিকায় তার দিকেই চেয়ে থাকবে পুরো দল। তিনি কি পারবেন প্রয়োজনের মুহূর্তে দলকে উদ্ধার করতে?

কোপা আমেরিকার গত আসরে সেলেসাও দলে ছিলেন না নেইমার জুনিয়র। এবারের আসরে থাকছেন তিনি। তাই আগের আসরের চেয়ে ভারিও হয়েছে ব্রাজিল। শূন্যতা শুধু দুটি জায়গায়। দলে নেই ফিলিপে কুতিনহো ও দানি আলভেস। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই দুজনের বিকল্প হিসেবে যাদের নেয়া হয়েছে তারা আস্থার প্রতিদান দেবেন। অন্যদিকে ব্রাজিলের নেতৃত্বের দায়িত্ব অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভার কাঁধে। তার সঙ্গে থাকবেন এডার মিলিতাও, মার্কুইনহোস, ডানিলো ও আলেক্স সান্দ্রোরা। মধ্যভাগে ক্যাসেমিরোসহ রয়েছেন এভারটন, পাকুয়েতারা।

অন্যদিকে টুর্নামেন্টে ভেনেজুয়েলার অধিনায়ক থমাস রিংকনের কাঁধে। দলটির আক্রমণভাগে রয়েছেন জোসেফ মার্তিনেজ, সার্জিও করডোভা। ফার্নান্দো আরিস্তেগুইতা ও কাদিজরা। ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিল চিলি। এবারও আলেক্সিস সানচেজ, থমাস আলারকন, আর্থুরো ভিদালদের নিয়ে শক্তিশালী দল তাদের। টুর্নামেন্টের শিরোপা দাবিদারদের মধ্য তারাও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। চিলির অধিনায়ক গোলরক্ষক ক্লাউদিও ব্রাভোর ওপর। দেখার পালা এবারের কোপা আমেরিকায় কতদূর যেতে পারেন তারা।

রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্তুগালের মতো দলকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছিল উরুগুয়ে। কোপার গত আসরেও দুর্দান্ত খেলেছে অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা। লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানি, ফেদেরিকো ভালভার্দে, জিওভান্নি গঞ্জালেসদের নিয়ে শিরোপার অন্যতম দাবিদার উরুগুয়ে। এই দলটির নেতৃত্বভার দিয়াগো গোডিনের ওপর। কলম্বিয়া দলে এবার নেই হামেস রদ্রিগেজ। তাকে বাইরে রেখেও তুলনামূলক শক্তিশালী দলে রূপ নিয়েছে কলম্বিয়া। নিজেদের মাঠেই এবার কোপা আমেরিকায় আয়োজন করতে যাচ্ছিল তারা। তবে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার কোপা আয়োজন করতে পারেনি কলম্বিয়ানরা।

১৯৯৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কোনো ট্রফি জেতেনি আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিও তাই পাননি কোনো শিরোপার স্বাদ। এবার তার অধিনায়কত্বেই ব্রাজিল মিশন আর্জেন্টিনার। মেসিরা কি পারবেন দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কাটাতে? যদি পারেনই তবে এ ক্ষেত্রে তাদের বড় অস্ত্র হতে পারেন লিও নিজে। আক্রমণভাগে মেসিকে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার জন্য প্রস্তুত লতারো মার্তিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, সার্জিও আগুয়েরোরা। আলবিসেলেস্তেদের এই দলটিকে এবারের কোপায় কে থামাবে? প্রতিপক্ষ দলগুলো কি তাদের সমীহ করে কথা বলবে না?

আন্ডারডগদের মধ্য অন্যতম পেরু, ইকুয়েডর, প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়া। রিকার্ডো গারেকার অধীনে পেরু গত কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয়েছিল। এবারও চমক দেখানোর জন্য প্রস্তুত তার শিষ্যরা। এদের মধ্য দলের সুখের কারণ হতে পারেন দলের গোলরক্ষক ও অধিনায়ক পেদ্রো গালেস। সান্তিয়াগো ওরমেনো, লুইস ইবেরা, আলেক্স ভালেরাদের নিয়ে আক্রমণভাগ গঠিত তাদের। ইকুয়েডরের নেতৃত্ব পেয়েছেন আলেক্সান্ডার ডমিনগুয়েজ। বড় তারকাদের মধ্য দলে আছেন অ্যাঞ্জেল মিনা, লিওনার্দো কাম্পানা, গঞ্জালো প্লাতারা। গত কয়েক মৌসুম ধরে পালমেইরাসে দুর্দান্ত খেলছেন গুস্তাবো গোমেজ। তিনিই পেয়েছেন প্যারাগুয়ের নেতৃত্বভার। গ্যাব্রিয়েল আলভোস, কার্লোস গঞ্জালেসদের নিয়ে ভারি তাদের আক্রমণভাগ।

দশটি দল নিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের ৪৭তম কোপা আমেরিকা। দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে টুর্নামেন্টে প্রতিযোগিতা করবে তারা। এর মধ্য ‘এ’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গে রয়েছে চিলি, উরুগুয়ে, বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ে। ‘বি’ গ্রুপে শক্তিশালী ব্রাজিলের সঙ্গী কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, পেরু ও ইকুয়েডর। কোপা আমেরিকা ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল উরুগুয়ে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ১৫ বার ট্রফি জিতেছে তারা। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বার এর স্বাদ নিয়েছে।

কোপা আমেরিকা ফিকশ্চার তারিখ দল সময় ১৪ জুন ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলা রাত ৩টা ১৪ জুন কলম্বিয়া-ইকুয়েডর ভোর ৬টা ১৫ জুন আর্জেন্টিনা-চিলি রাত ৩টা ১৫ জুন প্যারাগুয়ে-বলিভিয়া ভোর ৬টা ১৮ জুন কলম্বিয়া-ভেনেজুয়েলা রাত ৩টা ১৮ জুন ব্রাজিল-পেরু ভোর ৬টা ১৯ জুন চিলি-বলিভিয়া রাত ৩টা ১৯ জুন আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে ভোর ৬টা ২১ জুন ইকুয়েডর-ভেনেজুয়েলা রাত ৩টা ২১ জুন কলম্বিয়া-পেরু ভোর ৬টা ২২ জুন উরুগুয়ে-চিলি রাত ৩টা ২২ জুন আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ভোর ৬টা ২৪ জুন ইকুয়েডর-পেরু রাত ৩টা ২৪ জুন ব্রাজিল-কলম্বিয়া ভোর ৬টা ২৫ জুন বলিভিয়া-উরুগুয়ে রাত ৩টা ২৫ জুন চিলি-প্যারাগুয়ে ভোর ৬টা ২৮ জুন ব্রাজিল-ইকুয়েডর রাত ৩টা ২৮ জুন পেরু-ভেনেজুয়েলা রাত ৩টা ২৯ জুন প্যারাগুয়ে-উরুগুয়ে ভোর ৬টা ২৯ জুন বলিভিয়া-আর্জেন্টিনা ভোর ৬টা ৩ জুলাই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল রাত ৩টা ৩ জুলাই দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ভোর ৬টা ৪ জুলাই তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ভোর ৪টা ৪ জুলাই চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল সকাল ৭টা ৬ জুলাই প্রথম সেমিফাইনাল ভোর ৫টা ৭ জুলাই দ্বিতীয় সেমিফাইনাল সকাল ৭টা ১০ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ভোর ৬টা ১১ জুলাই ফাইনাল ভোর ৬টা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App