×

জাতীয়

করোনা আরও বেশি শ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে শিশুদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ০৩:১৫ পিএম

করোনা আরও বেশি শ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে শিশুদের

গাড়ির গ্যারেজে কাজ করছে এক শিশু। ছবি: ভোরের কাগজ

দীর্ঘায়িত করোনা সঙ্কট শিশুদের আরও বেশি করে শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নিজেদের পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে অনেক শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হবে। এতে করে বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রম নিরসনের অগ্রগতি ব্যাহত করতে পারে।

এডুকো বাংলাদেশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডুকো বাংলাদেশ পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রায় ৭২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শ্রমজীবী শিশু তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক প্রয়োজন মেটাতে কাজ করতে হচ্ছে। প্রায় ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, শিশু বলেছে যে তাদের পরিবার বিদ্যালয়ের ব্যয় বহন করতে পারে না এবং তাই তারা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ শ্রমজীবী শিশু তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যে তাদের বাবা-মা তাদের কম বয়সে কাজের জন্য বাধ্য করেছিল। তাদের মধ্যে আবার ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিশু তাদের কাজকর্মে শারীরিক আঘাতের শিকার হয়েছে, প্রায় ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু মানসিক অসুবিধায় ভুগছে, ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিশুর প্রায়ই বকাঝকা শুনতে হয়, ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিশু শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিশু দাবি করেছে তারা অর্থনৈতিক শোষণের শিকার হয়েছে।

এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদের মতে, বর্তমান মহামারি বিভিন্ন পরিবাররে এক অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে, যার ফলে অনেকেই পারিবারিক উপার্জন বাড়ানোর জন্য শিশুশ্রমের আশ্রয় নিচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু স্কুল এখনো বন্ধ রয়েছে, অনেক শিশুই তাদের এই সময়ের ব্যবহার এবং  সেই সঙ্গে অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য শিশুশ্রমের সাথে যুক্ত হতে বাধ্য হতে পারে। এসডিজি ৮.৭ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ধরণের শিশুশ্রম নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেনো কোনো শিশু বাধ্যতামূলক পড়াশুনা শেষ না করা অবধি কোনো ধরণের শ্রমের সঙ্গে জড়িত না হয়। এই ব্যবস্থাটি কঠোরভাবে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App