×

মুক্তচিন্তা

সোনালি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ১২:১১ এএম

২০২১-২২-এর বাজেটে খুশি হবেন ব্যবসায়ীরা। তাদের করপোরেট কর কমানো হয়েছে। সুরক্ষা দেয়া হয়েছে স্থানীয় শিল্পকে। কমেছে ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার। নানাভাবেই ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার আয়োজন রয়েছে এই বাজেটে। তবে এখানে সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোনো ছাড় নেই। এমনকি করোনা মহামারি এবং অর্থনৈতিক নানা সমীকরণে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন তাদের কথাও নেই বাজেটে। এই বাজেট প্রস্তাবে হতাশা হয়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণি। সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ দেয়ার তেমন কোনো বন্দোবস্ত নেই। বিশ্বজুড়ে করোনাকালীন সময়ে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার হাতেই নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ভোক্তাশ্রেণি রয়ে গেছে উপেক্ষিত। ফলে ব্যবসায়ীরাও বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘পণ্য উৎপাদনে সহায়তা দিলেই হবে না। বরং ওই পণ্য কিনতে ক্রেতার হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থাকতে হবে।’ সেই নিশ্চয়তা যদি না থাকে, তাহলে বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে শুরুতেই সংশয় জাগাটাই স্বাভাবিক। আমরা বর্তমানে চরম এক দুঃসময়ের মধ্যে দিন পার করছি। আমরা এখনো কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে আছি। আমাদের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির এতটা ক্ষতি এত বছরে কেউ করতে পারেনি, যতটা করেছে কোভিড-১৯ মহামারি। এ কারণেই বাজেটও হওয়া উচিত ছিল কোভিড মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে পর্যায়ক্রমে করোনার টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায়। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও করোনা মোকাবিলায় জরুরি চাহিদা মেটাতে পুনরায় ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখার কথা বলেছেন তিনি। তিনি অবশ্য চলতি অর্থবছরের ১০ হাজার কোটি টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেননি। এবারের বাজেটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রতিফলন ঘটেনি। মোট কথা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিবেচনায় নিয়ে এই বাজেট করা হয়নি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশ করোনা মহামারির কবলে বিপর্যস্ত। এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের নানা ত্রুটি বিচ্যুতি, দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তেমন বাস্তবতায় বিভিন্ন গবেষক, বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ও যৌক্তিকভাবে খাতওয়ারি বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু তার আলোকে কিছু করা হয়নি নতুন বাজেটে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ১২ শতাংশ বাড়লেও এ খাতে পরিবর্তন আনার জন্য কিংবা সংস্কারের লক্ষ্যে যা প্রয়োজন ছিল, তা করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে এবারের বাজেটকে উন্নয়নবান্ধব বলা হয়েছে। জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য দিয়ে দেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তাসহ একটি বাস্তবভিত্তিক সংকটকালীন সময়োপযোগী বাজেট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলো প্রস্তাবিত বাজেটকে কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া এবং অবাস্তব হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, তাদের বক্তব্য হলো আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ঘোষিত বাজেটে অপচয়, অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ হয়নি। তাদের সবার দাবি, এই বাজেট ব্যাপকভাবে সংশোধন ও রদবদল করতে হবে। এবারের বাজেট কেবল বার্ষিক হিসাব-কিতাবের বাজেট হিসেবে বিবেচনা করলে ভুল হবে। বাজেট হওয়া উচিত ছিল ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কোন অর্থনৈতিক নীতিমালার আলোকে নির্ধারিত পথ ধরে এগিয়ে যাবে এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধার করবে। বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়ার লক্ষ্যের কথা বলেছেন। পৃথিবী থেকে করোনা মহামারি সহজে বিদায় নিচ্ছে না তেমন প্রেক্ষাপটে একমাত্র টিকার সঠিক ও ব্যাপক প্রয়োগের মাধ্যমে কিছু কিছু দেশ সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে। শুরুতে টিকা প্রাপ্তি এবং সহজলভ্যতা নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তা না থাকলেও বাংলাদেশ পরবর্তীতে টিকা পাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এখন অনেক দৌড়ঝাঁপ করেও প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা মস্তবড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে আমাদের জন্য। যে হারে বর্তমানে করোনা টিকা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা কীভাবে, কতদিনে পূরণ করা সম্ভব হবেÑ সেটাই এখন সবার মনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। অর্থবছরের বাজেটে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার রূপরেখা থাকার বিষয়টি ভালো লেগেছে অনেকেরই। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য উৎপাদনে কর ছাড় দেয়ার উদ্যোগটি প্রশংসনীয় বলা যায়। বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর ঘোষণার পাশাপাশি দেশীয়ভাবে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে নানা প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের জন্য এক ধরনের স্বস্তি বয়ে এনেছে। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে সন্দেহ নেই। তবে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে ন্যূনতম করের যে বিধান, তাতে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কারণ করোনা মহামারির প্রভাবে অনেকেই ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি তেমন সুস্পষ্ট নয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকলেও নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষজন উপেক্ষিত রয়ে গেছে। পর্যটন খাত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজেটে কিছু পায়নি। কর্মসংস্থানের নতুন পদক্ষেপ নেই এবারের বাজেটে। সামাজিক নিরাপত্তার বেশিরভাগ কর্মসূচিতে মাথাপিছু বরাদ্দ যেমন বাড়েনি, তেমনি নতুন দরিদ্র ও শহরের দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি নেই। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট পণ্য ও বিনিয়োগে কর অব্যাহতি ও হ্রাস করার বিষয়টি প্রশংসা পেয়েছে সবার। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প খাতে যা যা দরকার, সবই দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হলেও বঞ্চিতদের মধ্য থেকে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তি আয়ের করমুক্ত সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হলে ভালো হতো। এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ওপর কর ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্তটি বেশ গঠনমূলক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে অতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। সবার প্রত্যাশা ছিল, নতুন বাজেটে তাদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দেখা যায়নি। ফলে তাদের হতাশ হতেই হয়েছে। মধ্যবিত্তরা করোনায় বেশি বিপর্যস্ত হলেও এই বাজেটে তাদের জন্য তেমন কিছু নেই। করপোরেট কর কমানোর ঘোষণায় উৎপাদনশীল খাতের কোম্পানির আয় বাড়বে সন্দেহ নেই। এতে করে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন কোম্পানির ইপিএস ৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর করারোপ করার ফলে তার বোঝা সাধারণ মানুষকেই বহন করতে হবে। নতুন বাজেটটি নারীবান্ধব হিসেবে অনেকটাই প্রশংসা পেতে পারে। কারণ এই বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক সুখবর রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের কোনো নারী উদ্যোক্তার বার্ষিক লেনদেন যদি ৭০ লাখ টাকার কম হয়, তাহলে তাকে কোনো কর দিতে হবে না। বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে কোনো কর দিতে হয় না। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এতদিন আলাদা কোনো কর অব্যাহতি ছিল না। করোনা মহামারিতে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর বেশি মনোযোগী হতে সরকারের প্রতি তাগিদ ছিল বিভিন্ন মহলের। অবশেষে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রায় লাগাম টানলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন ৭.২ শতাংশ। এই হার ২০২০-২১ অর্থবছরে এ ধরা হয়েছিল ৮.২ শতাংশ। বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেলসহ সবজির বাজার মাঝে মধ্যে চোখ রাঙালেও কয়েক বছর ধরেই নিত্যপণ্যের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশে সীমিত রাখতে চায় সরকার। বর্তমান অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। বাংলাশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০তম বাজেট ঘোষিত হলো। করোনা মহামারিতেও আয়করে কোনো ছাড় পাননি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি আয় করলেই কর দিতে হবে। আর সর্বনিম্ন করহার হচ্ছে ৫ শতাংশ। নতুন বাজেটের প্রভাবে দেশে শিক্ষার ব্যয় বেড়ে যাবে। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আয়ের ১৫ শতাংশ হারে কর থাকলেও আইনি জটিলতার কারণে তা এতদিন কার্যকর করা যায়নি। তবে সেটিকে অর্থ আইনের মাধ্যমে কার্যকর করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। যা জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন সম্মান প্রদর্শন অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। এবারের বাজেটে কৃষকদের জন্য বেশকিছু সুখবর রয়েছে। মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুর খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানিতে কাঁচামালে কর ছাড় দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতিতে কর ছাড়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে। যার ফলে দেশে কৃষি কাজে যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়বে। কৃষিযান্ত্রিকীকরণে এটা অনুকূল প্রভাব ফেলবে সন্দেহ নেই। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবারের নতুন বাজেটে। এতে নারীরা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে কিছুটা হলেও ছাড় পাবেন। এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী অনেক কথাই বলেছেন। পুরো বক্তৃতা পড়লে দেশের ইতিহাসে হয়তো দীর্ঘতম বক্তৃতার স্বীকৃতি পেতে পারতেন তিনি। তার এই বাজেট বক্তৃতায় দারিদ্র্য হারসহ অনেক তথ্য-উপাত্তের মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। বেশকিছু বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই, অনেক উপাত্তের হালনাগাদ পরিসংখ্যান নেই, কর্মসংস্থান নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণাও নেই প্রস্তাবিত বাজেটে তবে এবারের বরাদ্দ প্রস্তাবগুলো আগেরবারের চেয়েও বাস্তবসম্মত হয়েছে। বিরাট অর্থনীতির তুলনায় এবারের বাজেটকে ছোট বলা যায়। এমনকি জিডিপির বিবেচনায় ১৯৭২ সালের চেয়েও ছোট। এবারের বাজেট যেমন জিডিপির ১৭ শতাংশের বেশি, যদিও তা অর্জিত হবে ১৫ শতাংশের মতো। অর্থনৈতিক ইতিহাস বলে, উন্নয়নের সঙ্গে জাতীয় আয় না বাড়লে বাজেটের আকার বাড়তে পারে না। আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত এখনো ৮ শতাংশের ঘরে। বাজেট নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ সব সময়ই এক ধরনের আশার মধ্যে থাকেন। তাদের প্রত্যাশা থাকে বাজেটে ভাগ্য পরিবর্তনের দিকনিদের্শনা থাকবে। হয়তো বাজেটে অনেক ভালো ভালো উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা, ঘোষণা, পদক্ষেপ গ্রহণের কথা থাকে। যা দেখে-শুনে সবাই আশায় আবার বুক বাঁধে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় জোর গলায় বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হচ্ছে দেশের মানুষ।’ দেশের মানুষ অকাতরে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছেন, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে অবদান রাখছেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল ও শক্তিশালী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এ বাজেটে অনেক ভালো দিক যেমন রয়েছে, তেমনি দুর্বল দিকও রয়েছে। আমরা অহেতুক, অনর্থক সমালোচনা করার পক্ষপাতি নই। দেশের সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম-বর্ণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হোক। অভাব দারিদ্র্য, দুঃখ-দুর্দশা; সমস্যা-সংকট কেটে গিয়ে নতুন নতুন সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের প্রিয় বাংলাদেশÑ তেমন প্রত্যাশা আমাদের সবার। অপচয়, অদক্ষতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা প্রভৃতি দূর করে সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নই সোনালি ভবিষ্যৎ এনে দিতে পারে আমাদের সামনে। বাজেটের সফল বাস্তবায়ন সমৃদ্ধ সোনালি ভবিষ্যৎ এনে দিতে পারে আমাদের সামনে। তাই সবাইকে বাজেটের সফল বাস্তবায়নে আন্তরিক এবং সহযোগী মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে। রেজাউল করিম খোকন : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App