×

জাতীয়

পাচারকারী নারী গ্রেপ্তার: শারিরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয় ভিকটিমকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৬:১১ পিএম

পাচারকারী নারী গ্রেপ্তার: শারিরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয় ভিকটিমকে

গ্রেপ্তার পাচারকারী চক্রের নারী সদস্য রেহেনা বেগম

বিদেশে পাঠানোর নামে পাচারের জন্য সাভারের একটি বাসার কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় ভিকটিমকে আটকে রাখে চক্রটি। গত চার মাস আটক অবস্থায় থাকার সময় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে তারা। একসময় সন্তানসম্ভাবাও হয়ে পড়েন ভিকটিম।

ঢাকার সাভার থেকে এই ভিকটিমকে উদ্ধারসহ মানবপাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে পাচারকারী এক নারীকেও উদ্ধার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১১ জুন) র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক ভোরের কাগজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অল্পবয়সী কিশোরীদেরকে উচ্চ বেতনে লোভনীয় চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি করতো একটি চক্র। এ চক্রের এক নারী পাচারকারীকেও আমরা গ্রেপ্তারে সমর্থ হই। তার নাম মোছা. রেহেনা বেগম (২২)।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন বড়দেশী পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত নারী পলাতক আসামী মো. জাকির হোসেনের সহায়তায় উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে বিদেশে চাকরি দেয়ার কথা বলে আসামীর সাভারের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকে রাখে ও গত চার মাস ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। ভিকটিম শারিরিক সম্পর্ক করতে না চাইলে দুজন মিলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রাণনাশের হুমকিও দিত। এভাবেই ভিকটিম বিভিন্ন সময়ে জোর পূর্বক শারিরিক সম্পর্ক করার কারণে দুমাসের সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন।

পলাতক মো. জাকির হোসেনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও র‌্যাব-৪ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App