মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেছেন, দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য এসব মাছের প্রজননকাল নির্ধারণ করে স্বল্প সময়ের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হবে। সবচেয়ে ভালো ফলাফলও পেতে হবে। এজন্য দরকার একটি কারিগরি কমিটি গঠন। কমিটির সুপারিশেই উপজেলা ভিত্তিক পাইলটিং ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাড়াতে হবে জনসম্পৃক্ততাও।

আজ বুধবার (০৯ জুন) রাজধানীর মৎস্য ভবনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের প্রজননকাল নির্ধারণ ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. মশিউর রহমান প্রমূখ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এ এইচ এম কোহিনুর।

প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, দেশের মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি অভাবনীয়। আমরা দেশের যে কয়টি বিষয়ে সফলতা ও গর্বের কথা বলি মৎস্য খাত তার মধ্যে অন্যতম। জলাশয় কমে যাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বর্তমানে দেশে মাছের উৎপাদন প্রায় ৪৬ লাখ মেট্রিক টন।

কাজী শামস্ আফরোজ বলেন, দেশীয় মাছের প্রজননকাল নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে নতুন প্রকল্পও বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাছাড়া জনগণকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছের অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও বিএফআরআই উদ্ভাবিত মাছের চাষ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য বছরব্যাপী ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে প্রজননকাল নির্ধারণ করে সাফল্য আসবে না।

কর্মশালা শেষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষ প্রযুক্তি নির্দেশিকা’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।