জরাজীর্ণ বাঁশের সাকোঁটি ১০ হাজার মানুষের ভরসা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২১, ০২:৩০ পিএম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জিঞ্জিরাম শাখা খালে ৫০ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু। ছবি: ভোরের কাগজ
দেওয়ানগঞ্জে জিঞ্জিরাম শাখা খালে বাঁশের সাকোঁ। ছবি: ভোরের কাগজ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে জিঞ্জিরাম শাখা খালে ৫০ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু। ফলে ১০ হাজার মানুষ বাঁশের সাকোঁর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল,কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানান, জিঞ্জিরাম শাখা খালে প্রতিবছর গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাকোঁ নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
জানাগেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাংধরা ইউনিয়নের মাখনেরচর ও নিমাইমারী, বাঘারচর এসব গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিবছর বন্যা মৌসুমে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের শাকো দিয়ে পারাপার হয়ে হয়।
ব্রিজটি নির্মাণ হলে এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনের সঙ্গে উপজেলা শহরের সঙ্গে সহজতর যোগাযোগের পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। অবহেলিত জনপদের সংযোগ রক্ষাকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এই খালটি বর্ষা মৌসুমে বাঁস দিয়ে সাঁকো বানিয়ে চলাচল উপযোগী করা হয়। কিন্তু ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
[caption id="attachment_289077" align="aligncenter" width="550"] দেওয়ানগঞ্জে জিঞ্জিরাম শাখা খালে বাঁশের সাকোঁ। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]কৃষক হযরত আলী জানান, বানের পানিতে নদী যখন থই থই করে নড়বড়ে বাঁশের সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় হয়। তারপরও আমাদের বাধ্য হয়ে এ সাকোঁ দিয়ে চলাচল করতে হয়।
ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, ব্রিজটি নির্মাণের দৌড়াদৌড়ি করছি কিন্তু আশার আলো দেখছি না।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ মাসুদ জানান, জিঞ্জিরাম নদীর শাখা খালে ব্রিজ না থাকায় ৫০ বছর ধরে মাখনের চর, বাঘার চর, নিমাই গ্রামের মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি শিকার হয়ে আসছে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যর সুফল আসবে। এসময় তিনি ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।