সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণগুলো কত দ্রুত বদলে যায়! আর মাত্র ১০দিন পর নুসরাত-নিখিলের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী, তবে সেলিব্রেশন নয় হয়ত অনুশোচনা নিয়েই এই দিনটা কাটবে দুজনের। চলতি বছর জানুয়ারির একদম গোড়ায় নুসরাত-নিখিলের বিচ্ছেদের খবর সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। তারপর প্রায় পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হল। ডিসেম্বর মাস থেকেই আলাদা নুসরাত-নিখিল। যশের সঙ্গে নায়িকার রাজস্থান ট্রিপ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে ছিল তা বলাই যায়। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

গত বছর অক্টোবরে সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে শেষবার একসঙ্গে পৌঁছেছিলেন নুসরাত-নিখিল। এরপর আর জনসমক্ষে একত্রে দেখা যায়নি মিঁয়া-বিবিকে। তবে আবার মুখোমুখি হতে চলেছেন নুসরাত-নিখিল। বিচ্ছেদের ছয়মাস পর আবারও দেখা হবে দুজনের। আগামী ২০শে জুলাই এই দম্পতির দেখা হওয়ার তারিখ পাকা রয়েছে। স্থান আলিপুর আদালত।

গতকালই নিখিল জানিয়েছিলেন নুসরাতের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেছেন তিনি। শোনা গেছে নুসোতের মা হওয়ার জল্পনার জেরেই নাকি এই পদক্ষেপ। তবে না, সেই জল্পনায় জল ঢেলে নিখিল জানিয়েছেন, যে দিন জানলাম, নুসরাত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না , অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি। গত মার্চ মাসের শুরুতেই নুসরাতের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিলেন তিনি। আর সেই মামলার দ্বিতীয় তারিখ আগামী ২০ জুলাই। এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সেদিন কোর্টে হাজির থাকতে হবে দুপক্ষকেই।

২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে দুটি রীতি মেনে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন এই জুটি, পরে শহরে ফিরে জুলাইয়ের শুরুতেই বসেছিল তাদের গ্র্যান্ড রিসেপশন। কিন্তু ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, নুসরত-নিখিলের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি। সেই কারণেই অ্যানালমেন্ট করেই নুসরাতের সঙ্গে আলাদা হতে চান নিখিল। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের সেই নিয়মানুসারে, নুসরাতকে আদালতে গিয়ে বলতে হবে নিখিলের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক ভবিষ্যতে থাকবে না।

নিখিল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেও, নুসরাত কিন্তু মুখ খোলেননি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এখন দেখবার নায়িকা নিজের অবস্থান কবে স্পষ্ট করেন গোটা বিতর্ক নিয়ে।