গাজায় এপির ভবনে হামাসের দপ্তর, দাবি ইসরায়েলের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২১, ১১:১০ এএম
ফাইল ছবি
গাজায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) অফিস ভবনে বোমা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েলের সেনা। মঙ্গলবার (৯ জুন) সরকারিভাবে তার কারণ জানালো ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েলের বক্তব্যের প্রমাণ চেয়েছে এপি। ইসরায়েলের বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছে রিপোর্টার্স বিয়ন্ড বর্ডার।
গত মে মাসে হামাসের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল ইসরায়েল। একদিকে গাজা থেকে ইসরায়েলের একাধিক শহর লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। অন্যদিকে গাজায় একের পর এক বিমানহানা চালিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে চলেছে নির্দিষ্ট ভবন লক্ষ্য করে রকেট হামলা। খবর এএফপি।
তেমনই একটি হামলায় গাজার জালা টাওয়ার গুড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ওই টাওয়ারেই অফিস ছিল এপি, আল জাজিরা সহ একাধিক সংবাদসংস্থার। ইসরায়েলের হামলায় প্রতিটি দপ্তরই ভেঙে যায়। মঙ্গলবার ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই ভবনে হামাসের ইন্টেলিজেন্স উইং কাজ করছিল। কী ভাবে ইসরায়েলের আয়রন ডোম শিল্ড অকেজো করে সেখানে রকেট হামলা চালানো যায়, তার পরিকল্পনা চলছিল। নির্দিষ্ট খবর পাওয়ার পরেই তারা সেখানে হামলা চালায়।
ইসরায়েলের বক্তব্য যে তাদের কাছে পৌঁছেছে, তা স্বীকার করেছে এপি। তবে এপি জানিয়েছে, ইসরায়েল যা বলছে, তার তথ্য প্রমাণ দিতে হবে। এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল তা দিতে পারেনি। এপির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইসরায়েল এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
Yesterday, I visited the @AP HQ in New York to explain to top executives that the building housing their Gaza operation was being used by Hamas terrorists trying to jam the Iron Dome - that is why it was prioritize by the IDF during last month’s operation. 1/4 pic.twitter.com/3lO3SpBSTN
— Ambassador Gilad Erdan גלעד ארדן (@giladerdan1) June 8, 2021
ভেঙে পড়া বাসার ধ্বংসস্তূপের ওপরে তাঁবু গেড়ে বসে আছে জাওয়ারা পরিবারের সদস্যরা। রাতের আঁধারে মোমবাতির আলোই তাদের সম্বল৷
ইসরায়েলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়, জালা টাওয়ারের মালিক এবং অন্য সংবাদসংস্থাগুলি। জালা টাওয়ারের মালিক জানিয়েছে, ইসরায়েলের কাছে দশ মিনিট সময় চাওয়া হয়েছিল ওই ভবন থেকে আল জাজিরার সমস্ত জিনিসপত্র বের করার জন্য। কিন্তু সে সময় দেওয়া হয়নি। রিপোর্টার্স বিয়ন্ড বর্ডার ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ভবনে যখন কেউ ছিল না, তখনই হামলা চালানো হয়েছে। কোনো প্রাণহানি যাতে না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে সংবাদসংস্থার ভবনে কীভাবে হামাস এ কাজ করছিল, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। যদিও হামাস এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি।