খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান (এলাকা) কোনোভাবেই কোনো ভবন নির্মাণের জন্য দেওয়া যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৯ জুন) দুপুরে নগরীর যাত্রাবাড়ীস্থ শহীদ শেখ রাসেল পার্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা বারবার গণপূর্তকে চিঠি দিয়েছি, র‌্যাব  কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা আলাপ করেছি। খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান এগুলো কোনোভাবেই ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া যেতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারে নির্দেশনা আছে, সেটাও আমি সবার নজরে এনেছি। আশা করব, তারা সেটা অচিরেই ছেড়ে দেবে। ১১নং ওয়ার্ডে কোনো খেলার জায়গা নেই। খেলার জায়গা শুধু ওই জমিটাই ছিল। সেটা যেনো আমরা আবার ছেলে-মেয়েদের খেলার উপযোগী করে উন্মুক্ত করে দিতে পারি। যাত্রাবাড়ী মোড়ে শহীদ শেখ রাসেলের নামে আমরা পার্কিটি উদ্বোধন করলাম। এখানে মনোরম ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, যাতে এই এলাকার মানুষজন একটি মুক্ত জায়গা পায়, আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করতে পারে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের স্বল্প মেয়াদী কাজ হলো, স্তুপ আকারে যে বর্জ্য ছিল সেগুলো পরিষ্কার করা। যাতে করে পানি নিষ্কাশন ও প্রবাহের সুযোগটা হয়। মধ্যমেয়াদী কিছু কার্যক্রম নিয়েছি, সেটা হলো, যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন, নর্দমাগুলো সম্প্রসারণ প্রয়োজন, আধারের জায়গাটা সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন, সেসব জায়গায় অবকাঠানো উন্নয়ন করা। এরইমাঝে আমরা দরপত্র সম্পন্ন করেছি, কাজ চলছে। প্রায় ১০৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। পরবর্তীতে হবে দীর্ঘমেয়াদী। আমরা মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। সেটার আওতায় দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম নিতে হবে। সেটা হবে অত্যন্ত পরিকল্পিত।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রমকে স্বল্পমেয়াদী উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এখন যে কাজ চলছে সেটা স্বল্পমেয়াদী। বর্তমানে যে ধারণ ক্ষমতা আছে, যে অব্কাঠামো আছে, সেখানে যেনো অন্তত পক্ষে পানি যেতে পারে, নিষ্কাশন হতে পারে এবং নদীতে প্রবাহিত হতে পারে। এ পর্যন্ত যতটুকু করেছি, তাতে কিছু সুফল আমরা পাচ্ছি। মধ্য মেয়াদী কাজে সফল হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদীতেও হাত দিতে হবে।

এর আগে মেয়র শান্তিনগরে এসটিএস উদ্বোধন, মালিবাগ মোড় থেকে চানমারি পর্যন্ত ওয়াসার নর্দমা পরিদর্শন এবং কাজী আলাউদ্দীন সড়কের জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।