×

সারাদেশ

রাজশাহীতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, আইসিইউ ফাঁকা নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০২:৫৯ পিএম

রাজশাহীতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, আইসিইউ ফাঁকা নেই

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি, আইসিইউ ফাঁকা নেই

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বেশ কয়েকদিন থেকে। আইসিইউতে ফাঁকা নেই বেড। ছোটাছুটি করেও কোনো লাভ হচ্ছে না স্বজনদের। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে আরও আটজনের।

মঙ্গলবার (৮ জুন) হাসপাতালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রোগীর স্বজনরা আক্রান্ত সংকটাপন্ন নিকটাত্মীয়দের বাঁচাতে আইসিইউ বেড পাওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ টাকার মাধ্যমে ওয়ার্ডে দায়িত্বরতদের ম্যানেজ করে বেড কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও প্রয়োজনের মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে না বেড।

হাসপাতালের ৩, ১৬, ২২, ২৫, ২৯, ৩০, ৩৯ এবং ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা বেশ ভয়াবহ। এ ওয়ার্ডগুলোতে বর্তমানে ২০৯ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৩৫-৪০ জন রোগী সংকটাপন্ন। অথচ আইসিইউ বেড মাত্র ১৭টি, ফাঁকা নেই একটিও। আইসিইউ বেডের চাহিদার সিরিয়াল যাচ্ছে ৪৮-৫০ পর্যন্ত। ফলে নাজুক অবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে হাসপাতালে আইসিইউ বেড নিয়ে। তবে বেড বৃদ্ধির বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।

[caption id="attachment_288876" align="alignnone" width="1404"] রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগীকে নামানো হচ্ছে। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

সাইফুল ফেরদৌস বলেন, আমরা খুব হিমশিম খাচ্ছি। তবে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার। আইসিইউ বেড বৃদ্ধির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাসেই আইসিইউতে আরও ৫ টি বেড বৃদ্ধি হতে পারে।

এদিকে রাজশাহীতে চলছে বিধিনিষেধ। প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জেলার মোহনপুর, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার মানুষের শহরে প্রবেশ। প্রশসানও তৎপর রয়েছে। তবে এমনটাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।

তাদের সমস্যার বিষয়টি উপলব্ধি করে মঙ্গলবার (৮ জুন) একটি বিবৃতিও দিয়েছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান লকডাউনই করোনা নিয়ন্ত্রণে সমাধান নয়। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সবার আগে দরকার। তবে এর প্রকোপ ঠেকাতে সকল দোকানপাট, বিপণি বিতান সারাদিন, এমনকি রাত ৩টা পর্যন্ত খোলার রাখার ব্যবস্থা করে মানুষে-মানুষে লকডাউন জারি করতে হবে। কেননা অল্প সময় দোকানপাট খোলা থাকায় মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে মার্কেটে যাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সেখানে রয়েই যাচ্ছে। কিন্ত মার্কেট সারাদিন খোলা রাখলে সেটি হবেনা। যেকোনো সময় কেনাকাটা করতে পারবে তারা। ফলে রোধ হবে করোনা। তবে বজায় রাখতে হবে দুরত্ব। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সেটিই হবে মানুষে-মানুষে লকডাউন।

সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব বিপদে। বিশেষ করে অটোরিকশাওয়ালা চরম দুর্বীষহ জীবনযাপন করছেন। একবেলা গাড়ি চালিয়ে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজের জমার টাকাই উঠছে না। সংসার নিয়ে রয়েছেন চরম টানাপোড়েনে। ফলে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে সবকিছু স্বাভাবিক করে মানুষে-মানুষে লকডাউন জারি করা উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App