×

জাতীয়

দেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের শূন্যতা অপূরনীয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০৯:০৯ পিএম

দেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের শূন্যতা অপূরনীয়

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

মোহাম্মদ নাসিম তার বাবা মনসুর আলীর মতোই সাহসী ও নির্ভীক ছিলেন। কোনোদিন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন নি, ছিলেন আপোষহীন নেতা। তার পরিবারের কেউ কখনো বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন নি। তিনি আওয়ামী লীগ ও দেশের মানুষের কাছে থেকে চলে গেছেন, তার চলে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শূন্যতা কোনোভাবেই পুষিয়ে ওঠার মতো নয়। এই শূন্যতা অপূরনীয়।

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সহ-সভাপতি তৈমুর ফারুক তুষারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রনির সঞ্চলনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের কেষাধক্ষ শাহেদ চৌধরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি শাহনেওয়াজ দুলাল প্রমূখ।

সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বগুণ আমাদের মুগ্ধ করেছে। বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন কল্যাণমুখী চিন্তার অধিকারী। সবসময় তার এলাকা সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে চিন্তা করতেন। সময় ও সুযোগ পেলেই নিজ এলাকায় ছুটে যেতেন। করোনার সময়ও আমাদের নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি সিরাজগঞ্জে ছুটে গিয়েছেন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন।

নানক বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের এই অকাল চলে যাওয়ার ক্ষতি কোনোভাবেই পুষিয়ে ওঠার মতো নয়। তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বস্ত সহযোগী হারিয়েছেন। আমরা একজন অভিভাবক হারিয়েছি। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশ বড় ধরনের বাধার মুখে পড়েনি। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত করোনার আঘাতে তছনছ হয়ে গিয়েছে। এরপরও দেশকে পিছিয়ে নিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন অপশক্তি নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

বিএনপির সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচন পরাজয় ও আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এটাই তাদের রাজনীতি। এনামুল হক শামীম বলেন, মোহাম্মদ নাসিম তার বাবা মনসুর আলীর মতোই সাহসী আওয়ামী লীগের জন্য নির্ভীক সৈনিক ছিলেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন নেতা। তার চলে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে তিনি ছিলে বিশস্ত নেতা।

এসএম কামাল হোসেন বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের পরিবারের কেউ কখনো বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার পর ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বঙ্গবন্ধু রক্তের উপর পা রেখে অনেক বড় হতে পারতেন। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। শেখ হাসিনার প্রতি মোহাম্মদ নাসিমের অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা ছিলো।

তানভীর শাকিল জয় বাবার স্মৃতি স্মরণে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, বাবা সবসময়ই সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। করোনার মধ্যেও নিষেধ না শুনে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতে ছুটে গিয়েছেন। এরপর তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলেও পরে আবার স্ট্রোক করেন এবং এই জটিলতায় তিনি মারা যান। জীবনের পুরোটা সময় তিনি সাধারণ মানুষের জন্য এবং দেশের জন্য কাজ করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App