×

সারাদেশ

সিলেটে ফের দুই দফা ভূমিকম্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২১, ০৬:৫০ পিএম

আটদিন পর সিলেট আবার কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দু'দফা কেঁপে উঠে দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী এই শহর।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।

এসময় নগরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাসা ও অফিসে থাকা মানুষজন ঘর ছেড়ে আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এরআগে গত ২৯ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটার মধ্যে সিলেটে অন্তত ছ'বার ভূকম্পন অনুভূত হয় সিলেটে। পরদিন ভোরে আবার ভূমিকম্প হয়। যার সবগুলোর কেন্দ্রস্থল সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকায়।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়ার আবহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম বলেন, সিলেট অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে তিনটি পেল্গটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ। ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে সিলেট হয়ে ভুটান পর্যন্ত ভূগর্ভে যে চ্যুতি আছে, তাতে বিপুল পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে। সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দুরে এ চ্যুতি। ফল্টলাইনগুলোকে ভূকম্পন হয়। ভূমিকম্পের প্রিশক ও আফটারশক থাকে। অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট কম্পন হয়। আবার বড় ভূমিকম্প হলে তারপর ছোট ছোট কম্পন হয়। যেহেতু সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

ভূমিকম্পের প্রবণতা নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তার গবেষণা মডেল বলছে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল পেল্গটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান।

তিনি জানান, দেশে বিপজ্জনক ভূকম্পনের প্রধান দুটি উৎস হচ্ছে- ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি 'ফল্ট' এবং টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন জোন। আর্থ অবজারভেটরি ভূকম্পনগুলোর উৎপত্তিস্থল হিসেবে শনাক্ত করেছে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকার লালাখাল সংলগ্ন এলাকাকে, যেটা বিপজ্জনক ডাউকি 'ফল্টের' পূর্ব প্রান্তের কাছাকাছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App