রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৭ জুন) সকালে হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঝুলন্ত অবস্থায় হঠাৎ একটি সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন ওয়ার্ডে অবস্থানরতরা। যদিও এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তবে এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান রোগী ও তাদের স্বজনরা। অনেক দিন থেকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রোগীদের।

করোনা নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, একদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তার ওপর হাসপাতালের ফ্যান খুলে পড়েছে। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! রোগীরা অল্পের জন্য বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। এ ঘটনায় পুরো ওয়ার্ডের অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন মো. নাহিদ উদ্দিন বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিং ফ্যান ছিটকে পড়ে। ভাগ্য ভালো কোনো রোগীর ওপর পড়েনি। এ ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে ওয়ার্ডে থাকা অর্ধশতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা বিভিন্নদিকে দৌঁড় দেয়।

আরেক রোগীর স্বজন মো. জামশেদ অভিযোগ করে বলেন, বাবাকে নিয়ে ৩ দিন ধরে হাসপাতালে আছি। হাসপাতালে মানুষ যখন বাঁচার জন্য আসে তখন তাদের গায়ের ওপর ফ্যান খুলে পড়ছে। ওয়ার্ডে ৮-৯টি ফ্যান নষ্ট, লাইট জ্বলে না। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় রাতের বেলা অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। টয়লেটগুলো নোংরা ও স্যাঁতসেতে হয়ে আছে। দুর্গন্ধে ভেতরে প্রবেশ করা যায় না। টয়লেটের দরজায় শিকলও নেই। এসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও, এদিকে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

ফ্যান খুলে পড়ার বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি জানা আমার নেই। এই অভিযোগগুলো ওয়ার্ডের ইনচার্জের মাধ্যমে আমাদের জানালে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করে দেয়া সম্ভব। দ্রুত ওই ওয়ার্ডের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।