×

সারাদেশ

মেহেরপুর সীমান্তে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২১, ১২:৩৩ এএম

মেহেরপুর সীমান্তে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক

মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসছেন ভারতীয় চাষিরা

সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। এই জেলার তিন দিকেই ভারতীয় কাঁটাতার। স্বাধীনতার পর দুই দেশের নাগরিকরা সীমান্ত মাঠে চাষাবাদ করে আসছে। বর্তমানে সীমান্ত গ্রামগুলোতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতীয়রা অবাধে কাঁটাতার পেরিয়ে মেহেরপুর সীমান্তে আসছেন। সংস্পর্শে আসছেন বাংলাদেশিদের। এতে আতঙ্কিত এ জেলার মানুষ। বিজিবি নজরদারি না বাড়ালে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোই ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে, এমনটিই ধারনা করছে এলাকার সচেতন মহল।

মেহেরপুরে এখনো ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত না হলেও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী গত এক সপ্তহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০১ জন।

মেহেরপুরের ওপারে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার নবীননগর গ্রাম। বিএসএফের কাছে ভারতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কাঁটাতারের গেট পার হয়ে জমি চাষ করতে সে দেশের কৃষকরা আসছেন হরদম। যদিও নো ম্যান্স ল্যান্ডে নিজেদের জমিতে কাজ করছেন। কিন্তু গল্পে মাতছেন বাংলাদেশিদের সাথে।

সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকজন চাষি জানান, মেহেরপুরে যখন করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই তখনো সীমান্ত গ্রাম গুলোতে নেই কোনো প্রচার প্রচারণা। বাংলাদেশীরাও নিজেদের ইচ্ছেমত সীমান্ত গ্রামগুলোতে গিয়ে চাষ করছেন অবাদে। সীমান্ত মাঠে চাষ কাজ বা ভারতীয় নাগরিকদের সংস্পর্শে না যাওয়ার জন্য বিজিবি বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোন মাইকিং বা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়নি। এমতাবস্থায় আতঙ্ক বাড়ছে জনমনে।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোই বাংলাদেশের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেলা সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন জানান, যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সঙ্গে ভারতীয়দের সংস্পর্শ আছে কিনা, সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও সীমান্ত এলাকাতে স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক টিম কাজ করছে।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বিজিবিকে বলা হয়েছে। অন্য দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সেক্টর বিজিবি-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, সীমান্তে আগের চেয়ে অনেক বেশি বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে। রাতেও রয়েছে বিজিবি’র একাধিক দল। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App