স্টার সিনেপ্লেক্সে চলছে ‘মর্টাল কমব্যাট’
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ০৩:২০ পিএম
বড় বড় সব অত্যাধুনিক অস্ত্র। বোতাম চাপতেই একের পর এক গুলি বের হচ্ছে। গুলিতে কুপোকাত হয়ে লুটিয়ে পড়ছে শত্রুরা। একটা সময় শুধু কম্পিউটারের ভিডিও গেমসে এমন দৃশ্য দেখা যেত। কিছু কিছু ভিডিও গেম এতটাই জনপ্রিয় হয়, যেগুলো পরবর্তীতে চলে আসে সিনেমার পর্দায়। ১৯৯২ সালের জনপ্রিয় ভিডিও গেম ‘মর্টাল কমব্যাট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয় একই নামের সিনেমা। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় এটি। ১৯৯৭ সালে এর সিক্যুয়াল ‘মর্টাল কমব্যাট : অ্যানিহাইলেশন’ মুক্তি পায়। এবার নতুন করে নির্মিত হলো ‘মর্টাল কমব্যাট’। মার্শাল আর্টধর্মী এ ছবি পরিচালনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান চলচ্চিত্রকার সাইমন ম্যাকোয়েড। প্রযোজনা করেছেন জেমস ওয়েন। ছবিটি রবিবার (৬ জুন) মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও ছবির বক্স অফিস রিপোর্ট আশাব্যাঞ্জক। সমালোচকদের মতে, ছবির আয়োজন ও নির্মাণে আকর্ষণ রয়েছে। সাফল্যের দিক থেকে আগের ছবিগুলোর চেয়ে এ ছবিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখছেন তারা। জনপ্রিয় ‘মর্টাল কমব্যাট’ ভিডিও গেম যেখানে সহিংসতা আর দুর্ধর্ষ সংঘাতে ভরপুর সেখানে চলচ্চিত্রগুলো অনেকটাই কোমল আর সার্বজনীন। তবে অ্যাকশন দৃশ্যগুলোতে দুর্দান্ত সব কাজ করা হয়েছে।
‘মর্টাল কমব্যাট’ ফ্র্যাঞ্চাইজির চিত্রনাট্যকার গ্রেগ রুসো টুইটারে জানিয়েছেন, এবার ‘মর্টাল কমব্যাট’-এ মারামারি আর সহিংসতার দৃশ্যগুলো অনেক বাস্তবসম্মত এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে। রুসো বলেন, প্রথমবারের মত ‘মর্টাল কমব্যাট’ আর-রেটেড হবে। ‘মর্টাল কমব্যাট’ ভিডিও গেমের সিংহভাগই এম-রেটেড (ম্যাচিওরড কন্টেন্ট), তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। অন্যদিকে, চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ১৯৯৫ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট’ এবং ১৯৯৭ সালের ‘মর্টাল কমব্যাট : অ্যানিহাইলেশন’ রেটিং হল পিজি-১৩, অর্থাৎ অভিভাবক নিয়ে ১৩ বছর বয়সীরা ফিল্ম দুটি দেখতে পারবে। এবারের ছবির ক্ষেত্রে তা নয়। ‘ডেডপুল’ এবং ‘জন উইক’ চলচ্চিত্রগুলোর সাফল্যই ‘মর্টাল কমব্যাট’ নির্মাতাদের সহিংসতা প্রদর্শন করে নির্মাণে উৎসাহিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।