পলাশী কোয়ার্টার থেকে ঢাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ১০:৪১ এএম
ইসরাত জাহান তুষ্টি।
ইসরাত জাহান তুষ্টি।
রাজধানীর পলাশী সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের একটি ভবনের বাথরুম থেকে ইসরাত জাহান তুষ্টি (২১) নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (৬ জুন) সকাল সোয়া সাতটার দিকে তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে সাত টায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। পরে মৃতদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া সাতটার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পলাশী সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের ১৮নম্বর ভবনের নিচতলায় একটি রুমের বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে অচেতন অবস্থায় থেকে উদ্ধার করা হয় ইসরাত জাহানকে। এরপর দ্রুত তাকে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থতাজনিত কারণে সে বাথরুমের ভেতরে পড়ে মারা গেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেয়েছি।
মৃতের রুমমেট ঢাবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহনুম তাবাসসুম রাফি বলেন, তারা ৪ জন ঢাবি শিক্ষার্থীর মিলে স্টাফ কোয়ার্টারের নিচ তলায় একটি বাসায় সাবলেট ভাড়া থাকত। সকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওই বাসার আন্টি তাদের রুমে এসে জানতে চান এতোক্ষণ ধরে বাথরুমে কে আছে, কলের পানি পড়ছে। পরে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখে বিছানাতে ইশরাত নেই, তাছাড়া বাকি সবাই রুমে আছে। পরে তারা বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখতে পেয়ে ইশরাতকে ডাকাডাকি করতে থাকে। ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরে ৯৯৯-এ কল দেয়।
[caption id="attachment_288413" align="aligncenter" width="945"] ইসরাত জাহান তুষ্টি।[/caption]তিনি আরও জানান, ইশরাতের এজমার সমস্যা ছিল। এছাড়া গতকাল দুপুরে সে বৃষ্টিতে ভিজেছিল। তখনই সে বলেছিল রাতে তার জ্বর আসতে পারে। পরে তার বাবা টাকা পাঠালে গতকালই সে ঠান্ডার জন্য কিছু ঔষধও কিনে সেবন করে। গতকাল বিকেলের পর থেকে সে বাসায়ই ছিল।
ইসরাতের আরেক রুমমেট সুমাইয়া পারভিন ও লুৎফুর নাহার ইতি জানান, ইসরাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ৪২২ নম্বর কক্ষে। তবে হল বন্ধ থাকায় সে আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়াটারে সাবলেট থাকতো। আর তার বাড়ি নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আলতাফ হোসেন।
মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশের উপ পরিদশর্ক (এসআই) জ্যোতির্ময় মল্লিক জানান, মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার হাত পা শক্ত হয়ে ছিল। ময়না তদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।