×

জাতীয়

করোনায় ভোটে মাঠ পর্যায়ে অনীহা, অনড় নির্বাচন কমিশন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ১০:০৯ পিএম

আগামী ২১ জুন লক্ষীপুর-২ সংসদীয় আসন, ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১১ টি পৌরসভায় ভোট করার দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ইসি। কিন্তু এসব নির্বাচন ঘোষিত এলাকার কোন কোনটি সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় করোনা সংক্রমন বেড়ে গেছে, সেখানে বর্তমানে লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় কিভাবে প্রার্থীরা ভোটের প্রচার করবেন বা কিভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে সংশয়ে আছেন মাঠ প্রশাসন। সেকারণে করোনা সংক্রমন বেড়ে গেছে এমন কয়েকটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনি ভোট না করার জন্য আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি এসেছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। যদিও ভোট নিতে অনড় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে লক ডাউন ঘোষিত সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের জেলার যেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে, তার সবগুলো নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়। বিশেষ করে কলারোয়া উপজেলার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভালো নয়। সেখানে পরিবেশ অনুকূল নয় মর্মে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে সিইসি মহোদয় যা সিদ্ধান্ত দেন তাই করা হবে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ইউপি নির্বাচনের বিষয়ে কমিশন থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। কিন্তু জেলার অনেকগুলো এলাকার নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল না হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে আজই (রবিবার) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি সার্বিক পরিস্থিতি চিঠিতে তুলে ধরেছি। নির্বাচন কমিশনের মাঠ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোট নিয়ে তাদের মধ্যেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। তারা বলেন, নির্বাচন হলে প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অনেকেই বলেছেন, ভোট করতে হলেও প্রিজাইডিং অফিসারসহ সব ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ নানা প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটা কতটা সম্ভব হবে সেটা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তাদের। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও ভোটের বিপক্ষে মত দিয়েছে। কেননা করোনার কারণে এলাকায় যদি লকডাউনে থাকে তাহলে কিভাবে প্রচার হবে আর কিভাবে ভোট হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যার কারণে এ সংক্রান্ত আদেশ মাঠ প্রশাসনে পৌঁছে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হলে জানান হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি জেলা প্রশাসন থেকে ইসির কাছে তথ্য এসেছে। বর্ডার এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক বলে ডিসিরা চিঠিতে জানিয়েছে। জেলা প্রশাসকদের চিঠি ফাইল আকারে তুলে ধরা হবে। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সর্বশেষে ২ জুনের বৈঠকে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে পাঁচজন কমিশনার এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কবিতা কবিতা খানম ভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেন। অপরদিকে কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নেন। তবে করোনাকালে ভোটের বিষয়ে কমিশনার মাহবুব তালুকদার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্নে প্রথমে নিরপেক্ষ থাকলেও শেষ সময় সিইসির মতের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে ৩/২ ভোটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App