আট জেলায় বজ্রপাতে একদিনেই অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে পাঁচ, চট্টগ্রামে চার, মানিকগঞ্জ ও ফেনীতে দুই জন করে এবং মাদারীপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে এক জন করে নিহত হন। রবিবার (৬ জুন) এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। মাঠে কৃষিকাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন। বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে বৃষ্টির সময় বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। সিরাজগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক সুকমল দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে বাড়ির উঠানে বজ্রপাতে দুই শিশু নিহত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো— মো. আল আমিন (৬) ও তামান্না আক্তার (১৫)। তারা পরস্পরের চাচাতো-জেঠাতো ভাই-বোন। সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও মীরসরাইয়ে বজ্রপাতে দুই নারীসহ চার জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—মীরসরাইয়ের সাজ্জাদ হোসেন, বোয়ালখালীর মো. জাহাঙ্গীর এবং ফটিকছড়ির লাকী দাস ও ভানু শীল।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে ঘিওর উপজেলার বৈলটি এবং দৌলতপুর উপজেলার চরকাটুরি গ্রামে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বৃষ্টির সময় মাঠে খেলতে গিয়ে অপূর্ব বর্মণ নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অপু বর্মণ ও পরিচয় বর্মণ নামের দুই যুবক। সিরাজদিখানের শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নাসির শেখ জানান, বিকেল ৩টায় উপজেলার শেখেরনগর মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়াতে বজ্রপাতে মো. খোকন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জেলার কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ ও সুবর্ণচরে বজ্রপাতে মারা গেছে সাতটি গরু ও একটি মহিষ। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাতিয়ার ৩নং পূর্ব মাইছরা গ্রামে এসব ঘটনার কথা জানান হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের।

মাদারীপুর: বজ্রপাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ছোট কৃষ্ণনগর গ্রামের আতিকুর রহমান ১৪ নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ি ফিরবার পথে রাস্তায় বজ্রপাতে সে মারা যায়। সে ওই গ্রামের ফারুক মাদবরের ছেলে। বজ্রপাতে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।