দর্শকনন্দিত নায়িকা অরুনা বিশ্বাসের চলচ্চিত্রে অভিষেকের দিন। নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে নায়ক রাজের পরিচালনায় ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে অরুনা বিশ্বাসের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৬ সালের ৬ জুন সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক বাপ্পারাজ। প্রথম সিনেমাতেই অরুনা বিশ্বাস এটিএম এম শামসুজ্জামান, শাবানার মতো গুণী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান।

প্রথম সিনেমাতেই দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন অরুনা বিশ্বাস। তারপর এই অভিনেত্রীকে ‘দুর্নাম’, ‘সম্মান’, ‘কৈফিয়ত’, ‘দংশন’, ‘চরম আঘাত’, ‘বন্ধু বেঈমান’, ‘সাদী মোবারক’, ‘আবদার’, ‘প্রেম শক্তি’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘মাটির কসম’, ‘জনম দুঃখী’, ‘সতীনের সংসার’, ‘মিস্টার মাওলা’, ‘ত্যাগ’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘হিংসার আগুন’, ‘অবুঝ সন্তান’সহ আরো অনেক জনপ্রিয় সিনেমার অভিনয়ে দেখা যায়। তার অভিনীত সিনেমার গানের মধ্যে ‘ডার্লিং ডার্লি’, ‘বলোনা কোথায় ছিলে’ বহুল জনপ্রিয়।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পথচলায় অরুনা বিশ্বাস এক সময় নাটক প্রযোজনা ও নির্মাণের সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ঠিকানা বত্রিশ’ খণ্ড চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

চলচ্চিত্র জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা এবং নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে অরুনা বিশ্বাস বলেন, ‘অবশ্যই চলচ্চিত্র জীবনের পথচলার কথা বলতে গেলে আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক কাকুর কথা আমাকে বলতেই হবে। তিনিই আমার বাবাকে বলে তার সিনেমাতে কাজ করিয়েছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে এমন একজন মানুষের নির্দেশনায় সিনেমাতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আমি নায়করাজ পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে এরপর যদি আমাকে সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজ ভাই আমার পাশে না দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো আমি হারিয়েই যেতাম। কারণ সেই সময় দিতি ও চম্পার পাশাপাশি আমাকেও আমার অভিনয় দিয়ে টিকে থাকতে হয়েছে। আমার পরিবারের প্রতি, আমার বাবা-মার প্রতি, আমার ভক্ত দর্শক, সাংবাদিক, নির্মাতা, প্রযোজক ও সহশিল্পীদের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞ।’