×

মুক্তচিন্তা

বাজেট জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রেখে অর্থনীতি গতিশীল করাই লক্ষ্য

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২১, ১২:১১ এএম

বাজেট জীবন-জীবিকার ভারসাম্য রেখে অর্থনীতি গতিশীল করাই লক্ষ্য

সরকার ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট এক কথায় শিল্পবান্ধব। কোভিড উদ্ভূত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হিসেবে নেয়া হয়েছে শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে। রপ্তানিনির্ভর এবং দেশীয় বাজারনির্ভর উভয় প্রকার শিল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানো, শিল্পে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক কিংবা সারচার্জ কমানো, ভ্যাট কমানো- এসব উদ্যোগে শিল্পের বিকাশকে উৎসাহিত করবে। বাজেট প্রদত্ত এই সুবিধাগুলো নানান শিল্পের জন্য দেয়া হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প, ওষুধশিল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, খেলনা উৎপাদন, হাঁস-মুরগি মাছের খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, স্যানিটারি ন্যাপকিন অর্ডার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ নানান শিল্পের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছে এই বাজেটে। এগুলো কাজে লাগিয়ে শিল্পগুলোর বিকাশ ঘটা সম্ভব। এর মধ্যে অনেক শিল্প সরকারের শিল্প ও রপ্তানি পলিসির প্রাধিকারভুক্ত শিল্প তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এদের কলেবর বাড়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মূল চ্যালেঞ্জ এই সময় সরকার সম্মুখীন হচ্ছে তা মোকাবিলায় বড় হাতিয়ার হবে নানামুখী শিল্পের বিকাশ। এতে প্রচুর শিক্ষিত বেকারের চাকরির সম্ভাবনা থাকবে। তবে একটু লক্ষণীয় যে, এই সুযোগ-সুবিধাগুলো নিতে পারবে মূলত মাঝারি থেকে বড় শিল্পগুলো। অতিক্ষুদ্র কিংবা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ কোনো কিছু এই বাজেটে নেই। তারা হয়তো পরোক্ষভাবে কাঁচামালের ওপর শুল্কের সুবিধা পাবেন, তবে তাদের অনেকেরই পুঁজির সহায়তা দরকার হবে। তাই এই বাজেটে মূলত শিল্পের বহুমুখীকরণের প্রচেষ্টা থাকলেও তাতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা কম। হয়তো কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী প্রস্তুতকারী অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান কিছুটা উপকার পাবে। অন্যান্য খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে তাদের জন্য পুঁজি প্রাপ্তি সহজলভ্য হতে হবে। এই বাজেটে বিভিন্ন রকম শিল্পের জন্য যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে তাতে শিল্প ও রপ্তানির বহুমুখীকরণের সুবিধা হবে। এই বাজেটকে শিল্পবান্ধব বলার আরেকটি কারণ হলো করপোরেট কর হার কমানো, যা বহু বছর ধরে আমার বিভিন্ন লেখায় বলে আসছিলাম। আসন্ন বাজেটে করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বিভিন্ন খাতে। এ উদ্যোগ ইতিবাচক। এতে করপোরেটের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে ইতিবাচক অবস্থার সূচনা হবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট করহার আরো কমিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য ২৫ শতাংশের স্থলে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। করপোরেট করহার কমানোর ফলে বড় এবং স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে করপোরেট করহার বাড়ানো হয়েছে। মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করপোরেট কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা এই সময়ে ঠিক হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের কর বৃদ্ধি স্বাভাবিক অর্থনৈতিক অবস্থায় করা যেতে পারত। এখন যেহেতু একটি জরুরি অবস্থায় মোবাইলভিত্তিক অর্থ আদান-প্রদান জরুরি এবং ব্যাপকভাবে মানুষ ব্যবহার করে, তাই এটা এখন। বৃদ্ধি করা একেবারেই ঠিক নয়। এর ফলে মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান আরো ব্যয়বহুল হবে। অথচ এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেন শহরের কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা তাদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থিত পরিবারের কাছে অর্থ প্রেরণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেতন প্রদান ইত্যাদি সব এই মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই বাজেট শিল্পবান্ধব হলেও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য সুস্পষ্টভাবে তেমন কিছু বলা নেই। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ঘিরে কিছু দিকনির্দেশনা প্রয়োজন ছিল। বর্তমান বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে, বিশেষ করে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ওপরে তাদের কর দিতে হবে না। এই সুবিধা নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় উৎসাহিত করবে। তাছাড়া ডে-কেয়ার সেন্টার যারা গড়ে তুলতে চান, এমন নারী উদ্যোক্তারা কিছু সুবিধা পাবেন, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে নারীর অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায়। সরকার নিজেও আরো বেশিসংখ্যক ডে-কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে, যা শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণকে সুবিধাজনক করবে। এছাড়া রান্নাঘরের নানা সামগ্রীর উৎপাদনে সরকারের কর সহায়তার ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে। এতে করে হোমমেকার হিসেবে যারা আছেন, যার অধিকাংশই নারী, তারা উপকৃত হবেন। তবে মোবাইল আর্থিক সেবার খরচ যদি বাড়ে, তা হলে অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে যেসব নারী ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের ব্যবসার অর্থ আদান-প্রদানের খরচ বাড়বে। তাছাড়া তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন খাতে যে শ্রমিকরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের বেতন পেয়ে থাকেন এবং সে বেতন গ্রামে থাকা তাদের পরিবারে এই মাধ্যমে প্রেরণ করেন, তাদেরও খরচ বাড়বে। কাজেই এই খাতের করপোরেট কর বৃদ্ধি এখন না করাই উচিত। স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ গত বছরের মতোই আছে এবং লক্ষ্যগুলো একই রকম। এর মূল কারণ হলো চলমান গত বছর বাজেট ঘোষণার সময় স্বাস্থ্য খাতের জন্য যে কার্যক্রমের টার্গেট করা হয়েছিল, তার অনেকই বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে আইসিইউসহ অন্যান্য আধুনিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়া, সেই সংক্রান্ত লোকজনের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো অর্জিত হয়নি। তাই নতুন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য যে বরাদ্দ তাতে সেই পুরনো অঙ্গীকারগুলো আবার এসেছে। আর আমরা যদি গত বছরের বাস্তবায়নের হার দেখি তবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে খুব উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই, যদি না তা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয় এবারো। স্বাস্থ্য খাতে টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন যত দ্রুত হবে তত আমরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথে এগোতে পারব। তবে স্বাস্থ্য সচেতনতা, বিশেষ করে করোনার ঝুঁকি কমানোর স্বাস্থ্য গাইডলাইন মেনে চলার সামাজিক সচেতনতা সারা বছর ধরে চালু রাখতে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন ছিল। এছাড়া দরিদ্র মানুষের কাছে মাস্ক, হাত ধোয়ার সামগ্রী ইত্যাদি বিনামূল্যে বিতরণের জন্য কর্মসূচি দরকার ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে নারীর স্বাস্থ্য কথা বিবেচনা করে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করি। সেক্ষেত্রে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের মূল্য কমবে। তবে এই খাতে ভর্তুকি দিতে হবে যাতে স্যানিটারি ন্যাপকিনের মূল্য প্রান্তিক নারীদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসে। প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন খাতের ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই পরিবহন খাতে অনেক মেগা প্রকল্প আছে। সেগুলোর বাস্তবায়নে যদি অগ্রগতি হয়, তাহলে তা অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। অনেকে মনে করেন, মেগা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে সেগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি সেটা মনে করি না। বরং মেগা প্রকল্পগুলো যত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে তত অপচয় কম হবে এবং তার মাধ্যমে মানুষ নিজেই জীবিকা খুঁজে নিতে পারবে। আর চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা বহু মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বরং এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে কোনো রকম দুর্নীতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নতুন কোনো উদ্যোগের কথা বলা হয়নি বরং চলমান কর্মসূচিগুলোর কলেবর বৃদ্ধির কথা রয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় নতুন উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ইতিবাচক। প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকৃত মোবাইলের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কথা বলা হয়েছে, যার কারণে মোবাইলের দাম বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এটি ঢালাওভাবে সব মোবাইলের জন্য না করে শুধু দামি মোবাইলের জন্য কর বাড়ানো যেতে পারে। কারণ এখন শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইনে হচ্ছে। অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিতে অংশ গ্রহণের প্রয়োজনীয় ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ না থাকার কারণে দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে ঠিকভাবে অংশ নিতে পারছে না। তাই স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন যাতে তাদের হাতের নাগালে আসে সেজন্য ২০ হাজার টাকার চেয়ে কম মূল্যের মোবাইলের ওপরে শুল্ক কমানো উচিত। বাজেটে অবশ্য দেশীয় মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা লাভ করে সেজন্য মোবাইল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা নিয়ে তাদের উৎপাদন কলেবর বাড়িয়ে এখনই দেশের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কম খরচের মোবাইল দরকার এখনই। তাই আমদানিকৃত অল্প দামি মোবাইলের ওপর এ বছর শুল্ক বাড়ানো ঠিক হবে না। বেশি দামি মোবাইলের ওপর কর বাড়ানো যেতে পারে। করোনার অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার বড় প্রকল্পগুলোর ব্যয় অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিবেচনায় ইতিবাচক। তবে নানান কাজ নানান যে পরিকল্পনা, সেইসঙ্গে শুল্ক কমানোর চেষ্টা, করপোরেট ট্যাক্স কমানো- সব মিলিয়ে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। সেই দিক থেকে আয় বা রাজস্ব বৃদ্ধি কম। তাই বাজেট ঘাটতিও এ বছর জিডিপির প্রায় ৬.১ ভাগ প্রাক্কলন করা হয়েছে। আর এই ঘাটতি পূরণের সরকার দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে। দেশীয় ব্যাংক ছাড়াও সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩২ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করলে তাতে খরচ বেশি পড়ে এবং পরবর্তীতে সুদ বেশি ফেরত দিতে হবে। তাই ব্যাংকিং খাত থেকে বেশি ঋণ নেয়া উচিত হবে। এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট তেমন নেই, কাজেই সরকার ঋণ নিলে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়া যায়। যেহেতু আমাদের রিজার্ভ এখন ভালো আছে এতে সমস্যা কম হওয়ার কথা। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় এ বছর কিছুটা বাজেট ঘাটতি আমাদের মেনে নিতে হবে। সব মিলিয়ে এই বাজেটে চেষ্টা করা হয়েছে জীবন-জীবিকার মধ্যে একটা ভারসাম্য রেখে দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার। এই বাজেটের মধ্যে স্পষ্টতই প্রতিভাত হয়েছে যে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ করে দেয়াটাই উত্তম পন্থা। সেখানে সরকারের ভূমিকা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা। আর সেই সহায়ক শক্তি হিসেবে সরকার বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগ বিশেষ করে সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে সুবিধা দেয়ার কথা বলেছেন এই বাজেটে। তবে এই সুবিধাগুলো অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাছে যেন পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু এই বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের জন্য নতুন করে কিছু বলা নেই। সেই দিক থেকে গত বছরের অঙ্গীকারগুলো এবারো যদি গত বছরের মতোই ঢিমেতেতালা গতিতে বাস্তবায়ন হয় তাহলে তাতে খুব সুফল আসবে না। আর করোনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সচেতনতা কর্মসূচিতে বাজেট বরাদ্দ না হলে ঝুঁকি বাড়বে এবং লকডাউনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে হলে তা অর্থনীতিকে আঘাত করবে। তাই শিল্পবান্ধব এই বাজেট বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবান্ধব বাজেট বরাদ্দ ও তার বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

ড. নাজনীন আহমেদ : সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App