×

অর্থনীতি

বাজেট ঘাটতির অর্থ অর্থসংস্থান বড় চ্যলেঞ্জ : সিপিডি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১, ০১:৪৭ পিএম

বাজেট ঘাটতির অর্থ অর্থসংস্থান বড় চ্যলেঞ্জ : সিপিডি

প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে শুক্রবার সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিং। ছবি: ভোরের কাগজ

আগামী অর্থবছরের জন্য বিশাল ঘাটতির বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বিশাল এ ঘাটতির অর্থ সংস্থান বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সম্ভব নয় বলে মনে করে সংগঠনটি

শুক্রবার (৪ জুন) ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনায় এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট ঘাটতির অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটা বড় প্রশ্ন। বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬.২ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈদেশিক উৎস থেকে বাজেট ঘাটতি পূরণের বিষয়টি ইতিবাচক দিক। এটা আকাঙ্ক্ষিত। তবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ১০ মাসের গতিপ্রকৃতি পর্যালোচনা করে পুরো অর্থবছর কেমন হতে যাচ্ছে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে গতিপ্রকৃতি ঠিক করা হয়নি। আমরা এখানে দুর্বল অবস্থায় রয়েছি।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়ে বাজেটে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় রাজস্ব আহরণ ১০.০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে কতটুকু সম্ভব হবে, সে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে সিপিডি পর্যালোচনায় দেখতে পায় রাজস্ব আহরণ ৩০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৯.৬ শতাংশ। বলা হচ্ছে, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। ব্যয় ঠিক করে আয়ের চিন্তাধারা থেকে এনবিআরের ওপর রাজস্ব আদায়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। যা আসলে অর্জন করা সম্ভব হয় না।

পাশাপাশি বাজেটে কিছু ইতিবাচক দিকও আছে বলে জানান ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি রফতানির ধারাটা বজায় ছিল। রেমিট্যান্সের প্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তাছাড়া ব্যালেন্স অব পেমেন্টের অবস্থা স্বস্তিদায়ক, মুদ্রার বিনিময় স্থীতিশীল, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App