×

মুক্তচিন্তা

চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা জরুরি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১, ১২:৩৯ এএম

চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা জরুরি

স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন সোনার বাংলা। উন্নয়নের কিছু সূচকে অনেক শক্তিধর দেশকে পেছনে ফেলে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়িয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। দেশ ও জাতি পালন করছে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আজ ৪ জুন, ২০২১ তারিখে দেশব্যাপী প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় চা দিবস’। দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৫৭ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বে¡ বাংলাদেশের চা শিল্প একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। চা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল, যাকে ব্লাক গোল্ডও বলা হয়। অর্থাৎ সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের যথাযথ নীতি সহায়তা এবং সহযোগিতা পেলে চা শিল্প হয়ে উঠতে পারে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা অন্যতম শিল্প। বাংলাদেশে চা শিল্পের ইতিহাস ১৮০০ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চা চাষ শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ সালে জমি বরাদ্দ হয়। বিভিন্ন কারণে কালক্ষেপণের পর ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা কুণ্ডদের বাগান বলে পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠার পর ওই চা বাগানটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়। অতঃপর ১৮৫৭ সালে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডে দেশের সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান ‘মালনিছড়া’ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শুধু সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলায় চা আবাদ করা হতো, যা যথাক্রমে সুরমা ভ্যালি এবং হালদা ভ্যালি নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধায়ন ও প্রতিবেদনের সুবিধার্থে সিলেটের সুরমা ভ্যালিকে লস্করপুর, বালিশিরা, মনু, দলই, লংলা এবং নর্থ সিলেট নামে ৬টি ভ্যালিতে ভাগ করা হয়েছে এবং হালদা ভ্যালিকে চট্টগ্রাম ভ্যালি নামকরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের চা শিল্প জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের (বর্তমান বাংলাদেশ চা বোর্ডের) চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থেকে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১১১-১১৩, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ০.৩৭১২ একর ভূমির ওপর চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত হয়। তিনি ১৯৫৭ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টি রিসার্চ স্টেশনের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করে উচ্চফলন জাতের (ক্লোন) চা গাছ উদ্ভাবনের নির্দেশনা প্রদান করেন। চায়ের উচ্চফলন নিশ্চিত করতে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং শ্রীমঙ্গলস্থ ভাড়াউড়া চা বাগানে উচ্চফলনশীল জাতের চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু টি অ্যাক্ট-১৯৫০ সংশোধনের মাধ্যমে চা বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) চালু করেছিলেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চা বাগানগুলো প্রায় বিধ্বস্ত হযে যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শিল্পকে টেকসই খাতের ওপর দাঁড় করানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ টি ইন্ডাস্ট্রিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ গঠন করে যুদ্ধোত্তর মালিকানাবিহীন বা পরিত্যক্ত চা বাগান পুনর্বাসন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিত্যক্ত বাগানগুলোকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বাগান মালিকদের কাছে পুনরায় হস্তান্তর করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত চা কারখানাগুলো পুনর্বাসনের জন্য ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ থেকে ঋণ গ্রহণ করত চা শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। চা শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় বঙ্গবন্ধু সরকার চা উৎপাদনকারীদের নগদ ভর্তুকি প্রদান করার পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। তিনি চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, বেবি কেয়ার সেন্টার, প্রাথমিক শিক্ষা এবং রেশন প্রাপ্তি চালু করেন, যা এখনো চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ টি রিসার্চ স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন, যা বর্তমানে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)’ নামে পরিচিত। চায়ের প্রকারভেদ, গ্রেড এবং তাদের উপকারিতা বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যানুসারে বিশ্বে প্রায় ৩০টি দেশ চা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, যাদের মোট উৎপাদনের শতকরা ৭০ শতাংশ ব্ল্যাক টি, ২৫ শতাংশ গ্রিন টি এবং বাকি ৫ শতাংশ অন্যান্য চা উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে চা পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো জটিল রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে চায়ের উৎপাদন ও ভোগ বিশ্বে চা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম স্থানে যেখানে চীন ও ভারত যথাক্রমে ১ ও ২নং স্থান দখল করে রয়েছে। দেশের চায়ের উৎপাদন গত ১০ বছরে প্রায় ৬০.০১ শতাংশ বা ৩৬.০৩ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি পেলেও তার বিপরীতে অভ্যন্তরীত ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৫.১৯ শতাংশ বা ৩৭.৫৭ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরে চায়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যা পূরণের জন্য চা বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দেশে প্রায় ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষাবাদ হয়, যেখানে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার স্থায়ী শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চা শিল্পে প্রায় ৪ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। দেশের উৎপাদিত কিছু জনপ্রিয় চা বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা হচ্ছে আবার চাহিদার ঘাটতি মেটাতে দেশের বাইরে থেকে চা আমদানিও করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১৯৭০ সালে চা উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩১.৩৮ মিলিয়ন কেজি। ২০১৬ সালে ৮৫.০৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়, ২০১৮ সালে ৮২.১৩ মিলিয়ন কেজি এবং ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২০ সালে ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। এছাড়া ২০২০ সালে রেকর্ড পরিমাণ ২.১৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে চা আমদানির প্রয়োজন হবে না বরং রপ্তানির ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশের চা বাগান ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো দেশে চা বোর্ডের নিবন্ধিত ওই ১৬৭টি চা বাগানসহ ছোটখাটো কিছু অনিবন্ধিত চা বাগান চা উৎপাদন করলেও বাজারে সচরাচর যে ব্র্যান্ডগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো : ১. ইস্পাহানী টি, ২.কাজি এন্ড কাজি টি, ৩. ফিনলে টি, ৪. হালদা ভ্যালি, ৫. সিলন টি, ৬. বেঙ্গল টি, ৭. ন্যাশনাল টি ও ৮. ড্যানিশ টি। বাংলাদেশে চায়ের ক্রয়-বিক্রয় দেশে চা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত নিয়মনীতি পরিপালন করা অত্যাবশ্যকীয়। চা বাগান মালিকরা তাদের উৎপাদিত অধিকাংশ চা চট্টগ্রামে ও শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত নিলাম বাজারের মাধ্যমে বিক্রয় করে থাকে। ওই নিলাম থেকে চা ক্রয় করে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ড পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে তাদের নিজস্ব প্যাকেটে বাজারজাত করে থাকে। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে চা ক্রয়-বিক্রয় করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স, বিডিং লাইসেন্স ও ব্লেন্ডিং লাইসেন্স গ্রহণসহ চা বোর্ড কর্তৃক অনুসৃত নির্দেশনা পালন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ চা বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে। চা বোর্ডের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে চা শিল্পের উন্নয়ন তথা চায়ের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, নতুন চা বাগান প্রতিষ্ঠা ও পরিত্যক্ত চা বাগান পুনর্বাসন, বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের ওপর উপ-কর আরোপ এবং তার সহায়ক অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও সামগ্রিকভাবে চা শিল্পের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা। চা শিল্পের গবেষণা কাজের জন্য বাংলাদেশ টি রিসার্চ ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বাগানে উৎপাদিত চা নিলাম বাজারে বিক্রয়ে সহায়তার জন্য ১১টি ব্রোকার প্রতিষ্ঠান, ক্রয়-বিক্রয়ের সহযোগিতার জন্য টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন, বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ, শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনসহ অর্থ জোগানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ওই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে যা প্রয়োজন চা শিল্প একটি প্রকৃতিনির্ভর ও শ্রমঘন শিল্প। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে মুহূর্তের মধ্যেই অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতিতে পড়তে পারে এ শিল্পটি। তাছাড়া শ্রমিকদের পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চ শিক্ষিত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে না, যা চা শিল্পের জন্য আরেকটি সম্ভাব্য সমস্য। ক্রমবর্ধমান শ্রমিক মজুরি ও অন্যান্য চাষাবাদ উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় চা চাষাবাদ করে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্যাপক শ্রমগোষ্ঠীর বিনামূল্যে বাসস্থান, চিকিৎসা, খাদ্যসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে চা বাগান কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে ওই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত সহযোগিতা অত্যবশ্যকীয় : ১. চা শিল্পের জন্য সার ও খাদ্যপণ্যের মতো ভর্তুকি মূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ, কীটনাশক ও জ্বালানি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. প্রকৃতির বিরূপ আচরণের ফলে সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য জাতীয়ভাবে চা বিমা চালু করতে হবে। ৩. চা শিল্পের শ্রম নির্ভরশীলতা হ্রাসকরণের এবং পণ্যের বহুমুখী বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে আধুনিক চাষাবাদ, প্রক্রিয়াকরণ ও যন্ত্রপাতির ব্যয় মেটানোর জন্য বিনাসুদে একটি আলাদা উন্নয়ন স্কিমের আওতায় চা উন্নয়ন তহবিল বরাদ্দ করতে হবে। ৪. চা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও তার অংশ বিশেষ আমদানিতে শূন্যহার শুল্ক প্রদান করতে হবে। ৫. এখন থেকে উপরোক্ত প্রস্তাবিত উন্নয়ন স্কিমের আওতায় চা শিল্প আধুনিকায়ন হওয়ার পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ প্রদান করতে হবে। ৬. চা শিল্পের উৎপাদন ও উন্নয়ন ঋণের সুদের হার বর্তমানের ৯.০০ শতাংশের পরিবর্তে ২.০০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

এইচএসএম জিয়াউল আহসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মো. কেরামত আলী, এসিএমএ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App