×

সাময়িকী

অতিমারির প্রবহমান সময় চিত্রণ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১, ০৩:১৯ পিএম

অতিমারির প্রবহমান সময় চিত্রণ

‘করোনাকাহিনি’ সুন্দর মলাট ও ঝকঝকে ছাপানো ৯৬ পৃষ্ঠার একটি নতুন বই। ভোরের কাগজ প্রকাশনের যাত্রারম্ভে এ ধরনের তরতাজা প্রসঙ্গের অবতারণা সত্যিই অভিনন্দনযোগ্য। আমরা যারা দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিয়মিত কলাম লিখি সবাই কোনো না কোনোভাবে কবি, সাংবাদিক, সম্পাদক ও টকশো-ব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্তের লেখার সঙ্গে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত তার প্রথম বইটি ছিল কবিতার। তারপর দ্বিতীয় কোনো কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত না হলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের সম্পাদনা করে জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যস্ত সময়ের ব্যস্ততম মানুষ হিসেবে সমাজ সচেতন ও মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রমে দায়বদ্ধতার জায়গায় খুব বেশি স্বচ্ছ। এই লেখক সম্পর্কে একটি প্রাক-ধারণা থাকায় ‘করোনাকাহিনি’ পড়তে পাঠক হিসেবে একটুও বিরক্তবোধ করিনি। বরং খুব সহজেই লেখকের বক্তব্যগুলো নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছি। গ্রন্থভুক্ত ১৬টি প্রবন্ধের বিষয়গুলো সচেতন পাঠকমাত্রেরই জানা। আর আমি যেহেতু নিয়মিত কলাম লেখি সেজন্য ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ঘটে যাওয়া করোনা আক্রান্ত পৃথিবীর পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাহুল্য, করোনা সংকট এখনো চলছে। সেই প্রবহমান সময়কে ধারণ করার জন্য শ্যামল দত্ত সমকালীন বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা প্রশংসনীয়। ১৬টি নিবন্ধের সংকলন ‘করোনাকাহিনি’। এগুলো কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যেমন- মহামারির মধ্যে জাতীয় উৎসব সম্পর্কিত- ‘অবরুদ্ধ দেশে নজিরবিহীন স্বাধীনতা দিবস’, ‘এমন বিষণ্ন পহেলা বৈশাখ যেন আর কখনও না আসে’, অন্যদিকে চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে লেখা- ‘চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই’, ‘চট্টগ্রাম নিয়ে আরও কিছু উদ্বেগ’। আবার অতিমারি আক্রান্ত বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে লেখা হয়েছে ‘বরিস জনসনের জন্য শুভকামনা ও এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি ডাক্তারের মৃত্যু’, ‘করোনার উৎস নিয়ে বিতর্ক ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’। চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে লিখেছেন- ‘একটি প্রতিবাদ ও ওএসডি হওয়ার কাহিনি’, ‘সাধারণ রোগীরা কোথায় যাবে?’, ‘কে দেয় কারে দায়?’, ‘৫ করোনা রোগী পুড়ে কয়লা, দায় কার?’ এবং যেখানে মৌল প্রতিপাদ্য হচ্ছে করোনা সেরকম আরো কিছু লেখা- ‘করোনাভাইরাস বনাম গুজবের ভাইরাস’, ‘চারটি গুরুতর বিচ্যুতি’, ‘রাষ্ট্রের ভেতরে শক্তিশালী রাষ্ট্র’, ‘করোনার দুর্যোগে ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগ ও পরিবেশ বিপর্যয়’, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ও নানা প্রতিক্রিয়া’, ‘চলুন, ইচ্ছেমতোই বাঁচি’। এভাবে ভাগ করা গেলেও মনে রাখতে হবে ১৬টি প্রবন্ধ করোনাজালে আবদ্ধ। অর্থাৎ কোনো না কোনোভাবে কোভিড-১৯-এর প্রসঙ্গ এসেছে প্রতিটি রচনায়। ২০২১ সালের ৫ মে লেখা গ্রন্থটির ভূমিকায় লেখক জানিয়েছেন- ‘ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য বা জীবনমান মাপার মাপকাঠি কী হবে- তা আমাদের নতুন করে শেখাচ্ছে এই মহামারি। এই গ্রন্থের লেখাগুলোতে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতা, সফলতা কোনো গুরুগম্ভীর বিশ্লেষণ নয়, গণমাধ্যমের সাদামাটা চোখে দেখার চেষ্টা করেছি। স্বভাবতই বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্বলতা, দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবে মানুষের যে দুর্বিষহ অবস্থা, সে দিকটাই বেশি থাকবে। তবে এর মধ্যে একটি সময়কে পাওয়া যাবে, যে সময়ের মুখোমুখি এর আগে আমরা আর কখনও হইনি। যেহেতু মহামারি এখনও চলছে, ফলে সময়টিকে এখনও প্রবহমানই বলতে হবে।’ লেখকের এই বক্তব্যের সঙ্গে পাঠক হিসেবে আমি সম্পূর্ণ ঐকমত্য পোষণ করি। সময় হিসেবে ২০২০ সালের মার্চ থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়েছে লেখার মধ্যে। যেমন, ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের পরিস্থিতি একটি বাক্যে ফুটে উঠেছে- ‘বাঙালি জাতির সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধও যেন লকডাইনে।’ করোনার কারণে গৃহবন্দি মানুষ উদ্দীপনা নিয়ে দিবসটি উদযাপন করতে পারেনি। এজন্য স্মৃতিসৌধ- মøান, বিষণ্ন, বাঙালির চিন্তায়, বাংলার ভাবনায়। আমরা যখন মুজিববর্ষ উদযাপনে উন্মুখ বৈশ্বিক মহামারির নজিরবিহীন সংকটে তখন মানব জীবন তছনছ। ‘অবরুদ্ধ দেশে নজিরবিহীন স্বাধীনতা দিবস’ প্রবন্ধে তিনি জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী টমাস সাফেরের আত্মহত্যার কথা লিখেছেন, চীনের উহানে কর্মরত দুজন ডাক্তার নিউয়েন লিওন ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত উসামা রিয়াজের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা লিখেছেন। যারা করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। চিকিৎসা, হাসপাতাল, রোগীর সেবায় মানবিক ডাক্তারদের কথা বলতে গিয়ে শ্যামল দত্ত আলবেয়ার কামুর প্লেগ উপন্যাসের কাহিনি ছুঁয়ে গেছেন। আবার ১৪২৭ বঙ্গাব্দের বিষণ্ন পহেলা বৈশাখ চাননি তিনি। তার মতে ধ্বংস হলেও মানুষ পরাজিত হয় না হেমিংওয়ের এই বাক্য পৃথিবীতে আশার বাণী শুনাচ্ছে। ‘এমন বিষণ্ন পহেলা বৈশাখ যেন আর কখনও না আসে’ রচনায় কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর ১৯৬৭ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পালনের কথাও উল্লেখ আছে। অন্যদিকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশ-বিদেশে গুজবের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল তারও অনুপুঙ্খ বিবরণ রয়েছে ‘করোনাভাইরাস বনাম গুজবের ভাইরাস’ শিরোনামের লেখায়। ২০২০ সাল থেকে মিথ্যা প্রচারণায় মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে। কখনো ঔষধি গাছের কাছে কখনো বা ক্লোরোকুইন নিয়ে চলেছে জল্পনা-কল্পনা। এক সময় ব্রিটিশ ভারতে মহামারি রোগের চিকিৎসায় টিকা দেয়া নিয়ে যে ধরনের গুজবের ডালপালা বিস্তার লাভ করেছিল ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালে। শ্যামল দত্ত ভূমিকায় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে যে কথা উল্লেখ করেছেন তার প্রমাণ রয়েছে বেশ কয়েকটি লেখায়। যেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার দৈন্যদশা কেবল নয় বরং লকডাউনের মধ্যে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যে বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে তারও চিত্র রয়েছে সমকালীন সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষুব্ধ হন। যদিও তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রথম থেকে আন্তরিক কিন্তু কিছু মানুষের অবিমৃশ্যকারিতায় সাধারণ জনগণের জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। এমনকি কয়েকটি বিষয়ে বিশেষত- ছুটি না লকডাউন, গার্মেন্টস নিয়ে তেলেসমাতি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতার বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। সংকট থেকে শিক্ষা নেয়া যে জরুরি এ কথাও লেখক স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতারক রিজেন্ট ও জেকেজির চুক্তি নিয়ে করোনাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দায়িত্বহীনতার কথা তুলে ধরেছেন ‘কে দেয় কারে দায়?’ নিবন্ধে। দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং টাকার বিনিময়ে ভুয়া রিপোর্ট বিক্রি করে কোটিপতি হওয়া দুষ্টচক্রের মুখোশ খুলে দিয়েছেন লেখক। অন্যদিকে ২০২০ সালের মে মাসে অভিজাত হাসপাতাল ইউনাইটেডে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মরা ৫ করোনা রোগীর জীবন নিয়ে যে অবহেলাজনিত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিচার দাবি করেছেন। এভাবে সামাজিক দায়বদ্ধতায় তিনি লিখেছেন একেকটি কলাম। কেবল করোনা চিকিৎসায় ব্যস্ত আতঙ্কে থাকায় অন্যান্য রোগের রোগীরা কোথায় যাবেন সেই প্রসঙ্গ দৃষ্টান্ত দিয়ে তুলে ধরে মৃত্যু নিয়ে বিখ্যাত সব কবির চরণের কাছে ফিরে গেছেন। লিখেছেন- মৃত্যুর কাছে আমরা সকলে আত্মসমর্পণ করে বসে আছি। এই যে নির্মম পরিস্থিতি যেখানে সংক্রমণের ভয়ে নিজের প্রিয়জনকে শেষ দেখা পর্যন্ত করতে পারেনি মানুষ, শ্বাসকষ্টে অক্সিজেনের অভাবে কিংবা ভেন্টিলেটর না পেয়ে অসহায়ভাবে মরণের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছে মানুষ তার করুণ চিত্র আছে শ্যামল দত্তের লেখনিতে। একইভাবে চিকিৎসা নিয়ে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ‘একটি প্রতিবাদ ও ওএসডি হওয়ার কাহিনি’ আসলে চিকিৎসকদের পরিস্থিতির আলোকপাতের মধ্যে তার নিজের প্রতিবাদই উচ্চকিত। এজন্য রাষ্ট্রের ভেতর যে আরেক রাষ্ট্র আছে, যার খবরদারিতে আমরা অসহায় তার সত্যতাও তিনি তুলে ধরেছেন। করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো রাষ্ট্রের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে সুবিধা নিতে চেয়েছিল তারও চিত্র রয়েছে লেখার ভেতর। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত থাকায় শ্যামল দত্ত বিশ্ব পরিস্থিতি মূল্যায়নে নিজের অভিজ্ঞতার বয়ান তুলে ধরতে সিদ্ধহস্ত। পশ্চিমা বিশ্বের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে তার পরিচিত। বরিস জনসন তাদেরই একজন। এজন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন করোনা আক্রান্ত তখন তিনি তার সুস্থতা কামনা করেছেন। এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি ডাক্তারের মৃত্যু প্রসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত সমাজে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার বিবরণ দিয়েছেন। আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে লেখকের জানা তথ্যের উপস্থাপনাও। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অস্ত্রের বদলে প্রাণঘাতী ভাইরাসে নিশ্চিহ্ন করবে মানবজীবন- এ কথা ২০২০ সালের অনেক আগেই উচ্চারিত হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মুখ থেকে। লেখক সেই সূত্র ধরে করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ‘করোনার উৎস নিয়ে বিতর্ক ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ প্রবন্ধে। ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন এই ভাইরাসের উৎস সন্ধানে কমিটি গঠন করেন তখন বিষয়টি নিয়ে মানুষের মনে নতুন খবর জানার আগ্রহ জন্মানো স্বাভাবিক। এক সময় চীন বায়োলজিক্যাল যুদ্ধের ভিকটিম ছিল এজন্য অনেকেই সন্দেহ করেন চীনের উহানে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রাদুর্ভূত ভাইরাস আসলে ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে? শ্যামল দত্ত বিজ্ঞান কিংবা গবেষকের দৃষ্টিতে নয় কিন্তু প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভারতসহ পশ্চিমা বিশ্বের আন্দরমহলে বিচরণ করছেন আলোচ্য নিবন্ধে। এছাড়া চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে শ্যামল দত্ত তার নিজের শহর নিয়ে যে চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন তার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছেন বন্দরনগরীর সমস্যাগুলো এবং দিকনির্দেশনা দিয়েছেন সেই সমস্যা সমাধানেরও। ‘করোনাকাহিনি’র ‘চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই’ ও ‘চট্টগ্রাম নিয়ে আরও কিছু উদ্বেগ’ রচনা দুটি সরকারের কাছেও মূল্যবান হওয়াই স্বাভাবিক। শ্যামল দত্ত দলকানার মতো করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে লিখতে গিয়ে কেবল শেখ হাসিনার প্রশংসা করেননি। বরং নানা প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে দেখিয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে দুর্বল অর্থনীতির দেশ হিসেবে জীবন কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে জীবন ও জীবিকা একসঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ‘চলুন, ইচ্ছেমতোই বাঁচি’ রচনায় কিছুটা হিউমার করলেও সিরিয়াস কথাই তিনি বলেছেন। নিয়ম না মেনে, করোনা দুর্যোগকে গুরুত্ব না দিয়ে বেঁচে থাকতে চাইলে তা হবে আহাম্মকের জীবন। মানুষের বেঁচে থাকার প্রবল শক্তি ও আগ্রহ জয়ী হবে আমরা সচেতন হলেই। ‘করোনাকাহিনি’র ভাষা সহজ-সরল। নিবন্ধগুলো পাঠের সময় তথ্যের ভিড়ে মূল বক্তব্য হারিয়ে ফেলার কোনো ভয় নেই পাঠকের। বরং বিষয় অনুসারে শ্যামল দত্ত তার অধীত বিদ্যা ও পেশাগত অভিজ্ঞতার সমন্বয় করেছেন। ফলে লেখায় এসেছে পাঠক ধরে রাখার সক্ষমতা। ‘করোনাকাহিনি’ এ সময়ের চিত্রণ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে করোনার ইতিহাস জানান দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

করোনাকাহিনি শ্যামল দত্ত প্রথম প্রকাশ ২০২১ ভোরের কাগজ প্রকাশন মূল্য : ২০০ প্রচ্ছদ : রজত পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রধান কার্যালয় ও ভোরের কাগজ প্রকাশন অনলাইন থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App