×

জাতীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল বাজেট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ০৪:৩১ পিএম

ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল বাজেট

বৃহস্পতিবার টিভির স্ক্রিনে ২০২১-২২ বাজেট পেশ দেখছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: ভোরের কাগজ

ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংসদে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মৌখিক বাজেট পেশের পাশাপাশি সংসদ টিভিতে ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে বাজেটের সারাংশ, গড়, খরচের খাতের টিউটোরিয়াল গ্রাফিক্যালি তুলে ধরা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি তৃতীয় বাজেট। এবার প্রস্তাবিত বাজেট ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতার শুরুতে প্রথম অধ্যায় উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান, ২য় থেকে ৫ম অধ্যায় অডিও ভিজুয়াল পদ্ধতিতে উপস্থাপন হবে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম অধ্যায় পাওয়ার পয়েন্টদিয়ে উপস্থাপন করবেন এবং ১১ অধ্যায় পর্যন্ত আবারও অডিও ভিজুয়ালে উপস্থাপন করে ১২ অধ্যায় পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে উপস্থাপন করবেন তিনি।

বাজেট উত্থাপনকালে সংসদ টিভিতে দেখা যায়, অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার পাশাপাশি টিভি স্ক্রিনে সংশ্লিষ্ট বাজেট সম্পর্কিত ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রদর্শন করা হচ্ছে। যা এর আগের বাজেট পদ্ধতির চেয়ে ভিন্নতা পেয়েছে।

বাজেট উপস্থাপনের শুরুতেই ১৯৭১ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয় অডিও ভিজ্যুয়ালে। কীভাবে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠলো সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয় দক্ষতার সঙ্গে।

উপস্থাপনার শুরুতেই বলা হয়, শূন্য ক্যানভাসে কী নিঁখুত শিল্পীর মতো পূনর্গঠনের ছবি আঁকা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরিকল্পনা কমিশন, কৃষি গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, পরমাণু শক্তি কমিশন, বিসিএসআইসহ সবগুলো অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান হয় বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান নির্মাণ করে গেছেন, বা প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার শুরুটা করে দিয়ে গেছেন। সোনার বাংলা গঠনের মজবুত ভীত তার হাতেই।

৭৪-৭৫ সালে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ লক্ষ মাত্রার বিপরীতে ৯ এর ওপরে জিডিপি অর্জিতের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, যদি একদল বিপথগামীর কারণে এই দেশ বঙ্গবন্ধুকে না হারাতো তাহলে প্রবৃদ্ধি একইহারে থাকতো এবং আজ সূবর্ণজয়ন্তীতে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে থাকতো বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার অংশে বলা হয়, ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে ১৯৮৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসেন মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। শুরু করেন গণতন্ত্র মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের কাজ। পরবর্তীতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন, শুরু হয় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। এরপর ২০০১ সালে আাবারও উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। ২০০৯ এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের চাকা আবার ঘুরতে শুরু করে। শুরু হয় সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।

এক সময়ের বিশ্বের দরিদ্রতম দশটি দেশের অন্যতম বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এর মতে, অর্থনৈতিক বিকাশ অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়ের বিস্ময়। স্বাস্থ্য বিধি পরিপালন নিশ্চিত করত: ১৭ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ এ আয়োজিত মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জাতীয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App