×

মুক্তচিন্তা

ডা. দীপু মনির ভাষ্য ও আমাদের ভাবনা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২১, ১২:০৪ এএম

গত ২৬ মে এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন। ভাইরাসের বিস্তার রোধে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শুরু হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়েও তিনি সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন। এমনকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খুলে দেয়ার বিষয়েও করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় শিক্ষার্থীদের আনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলে বরাবরের মতো এবারো শিক্ষামন্ত্রীর সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষা সংকটের মধ্যে পড়ে ধৈর্র্যহারা জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে দেড় বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশকিছু ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে, ফলে শিক্ষার অগ্রগতিকে অটুট রাখা সম্ভব হয়েছে। ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ খোলার পর ক্লাসে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারা সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন ক্লাস করবে। তিনি জানান, এ বছর অটোপাস দেয়ার ইচ্ছা সরকারের নেই। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থীদের করোনা ভাইরাসের টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের শিক্ষা সেক্টরে অশনি সংকেত ধ্বনিত হলেও প্রথম থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপগুলো ছিল যথার্থ। তিনি নিজে ডাক্তার হওয়ায় এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই ভাইরাসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণায় লাভ করায় যুবসমাজকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাননি। বরং একাধিক মিটিংয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা উল্লেখ করে অনলাইন ক্লাসের ওপর জোর দিয়েছেন। অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব : অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডা. দীপু মনি বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে আমাদের কর্মক্ষেত্র এত পরিবর্তন হবে যে, বর্তমানে অর্জিত জ্ঞান হয়তো ভবিষ্যতে আর প্রয়োজন হবে না। সেক্ষেত্রে কর্মজীবীদের পক্ষে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে কোনো কর্মজীবী যে কোনো সময় যে কোনো পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। সে যেন অনলাইনের মাধ্যমে শিখতে পারে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সে সুযোগ রাখতে হবে। তার মতে, ডিজিটাল শিক্ষার যুগে বাচ্চাদের শেখার উপকরণগুলো সহজেই বোধগম্য এবং উপভোগ্য করে তৈরি করা দরকার। পড়াশোনা সবসময় পরীক্ষাকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়, বরং নীতিবান, দায়িত্বশীল এবং সংবেদনশীল মানুষ গড়তে যেসব শিক্ষা দরকার তার প্রয়োজনীয়তা অনেক, যেমনটা জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভার্চুয়াল ক্লাস : ২০২০ সালের ২৩ জুন পুনরায় বলা হয়, করোনা পরবর্তী সময়েও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস চলমান থাকবে। ডা. দীপু মনি তখন বলেছিলেন, ‘১০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেয়া যায় কিনা তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ লোনও দিতে পারি।’ তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উদ্যোগ নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমার ঘরে আমার স্কুল : চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন সময়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এ বিষয়ভিত্তিক ক্লাস শুরু করে। এ প্রসঙ্গেও শিক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন। সংসদ টিভির ক্লাসগুলো প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের জরিপে আমরা জানতে পেরেছিÑ সংসদ টিভির ক্লাসগুলো মোবাইল ফোনসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তবে এখনো ১০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে সংসদ টিভির ক্লাসগুলো পৌঁছায়নি। কিন্তু এই ১০ ভাগকে পেছনে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাব না। তাই ইতোমধ্যেই আমরা টোল ফি মোবাইল সুবিধা দেব, যা খুবই দ্রুত সেটা চালু করতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে সেই ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে পাঠের সুযোগ পাবে। অনলাইন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম : ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় শিক্ষামন্ত্রীর সার্বক্ষণিক তদারকিতে। ২০২০ সালের এইচএসসি : বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি। জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের গড়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়নের পর ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল অটোপাস হিসেবে প্রকাশিত হয়। সে সময় ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কাছে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ সংশোধনের উদ্যোগ :  ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রায় ১০ বছর আগে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। তাই এখন শিক্ষানীতিকে সংশোধন, পরিমার্জন ও সংযোজন করা প্রয়োজন। এজন্য সরকার শিক্ষানীতি সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তির প্রসার : মহামারির মধ্যে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি সেবাগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সহজ হয়।’ তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৩০টি সেবা একই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদানের কার্যক্রম সুএড়া-এর উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের ৭ আগস্ট এ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বিপ্লব। শিক্ষকদের পদোন্নতি : ২০২০ সালে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের ৬০৯ জন সহযোগী অধ্যাপককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এমপিওভুক্তকরণ :  ২০২০ সালের ৪ আগস্ট ডা. দীপু মনি বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমি নেই, সে রকমের প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতে আর এমপিও প্রদান করা হবে না। ইতোমধ্যে ভাড়া বাড়িতে স্থাপিত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও প্রদান করা হয়েছে তাদের ৫ বছরের মধ্যে নিজস্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করতে হবে। নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রণোদনা : ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিশেষ অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু এরপর এই অনুদান নিয়মিত প্রদান করা খুবই জরুরি ছিল। কারণ এখনো বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থা করুণ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম : ২০২০ সালের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, করোনাকালে এবং করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের সব বেসরকারি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হবে। তার মতে, ‘নতুন দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষাই বড় সহায়ক।’ স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ : করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দীপু মনি। তিনি বলেছিলেন, অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষেই ইন্টারনেটের ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট দিতে অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেয়ার আহ্বান জানান। ডিজিটাল শিক্ষার যুগে করণীয় :  ডা. দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল শিক্ষার যুগে বাচ্চাদের শেখার উপকরণগুলো সহজেই বোধগম্য এবং উপভোগ্য করে তৈরি করা দরকার। তার মতে, পড়াশোনা সবসময় পরীক্ষাকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়, বরং নীতিবান, দায়িত্বশীল এবং সংবেদনশীল মানুষ গড়তে যেসব শিক্ষা দরকার তার প্রয়োজনীয়তা অনেক। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ স্টপ মোশন অ্যানিমেশনটি শিশুদের জন্য উপযোগী মাধ্যম, ভাষা এবং স্টাইল ব্যবহার করে সংবিধানের চারটি স্তম্ভকে তুলে ধরেছে। বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষা : গত ২৩ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে শতকরা প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। অনলাইনে পাঠদানে আজ নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি ব্যবহার করতে পারবে।’ এ সময় শিক্ষামন্ত্রী অনলাইন শিক্ষা সহজলভ্য করতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভিসি নিয়োগ : ২০২০ সালে দেশের ৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং এবং ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির পদ ছাড়াও দেশের ১৯টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং ৮৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসির পদশূন্য ছিল। এজন্য ২০২০ সালের ৯ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সগুলো শূন্যপদে ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভিসিপুল গঠন করা হবে। এই লক্ষ্যে ৩১ আগস্ট ২০২০ তারিখের মধ্যে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ও জীবনবৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোকে আহ্বান জানানো হয়। তিনি গত ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের পদশূন্য রয়েছে সেসব শূন্যপদে নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণেরও আহ্বান জানান। ওই সময়ের মধ্যে তালিকা প্রেরণ করতে না করলে মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি মিটিংয়ে জানান। উপসংহার : সব মিলে করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার শিক্ষা খাত। এজন্য সাধারণ জনগণের কারো কারো বক্তব্য হলোÑ শপিংমল খোলা, গণপরিবহন চলাচল করেছে, ট্রেন-লঞ্চ চলছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে ও পরীক্ষা নিতে সমস্যা কোথায়। কারো মতে, সবকিছু যেভাবে সীমিত পরিসরে খোলা হচ্ছে তেমনি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হোক। আবার কারো মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা মাঝপথে বন্ধ করে দেয়ায় তাদের জীবন ২ বছর পিছিয়ে পড়েছে। ফলে হতাশা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এসব প্রশ্নের জবাব আছে শিক্ষামন্ত্রীর ২০২০ সাল থেকে আজ অবধি দেয়া উপরি-উক্ত বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যে। ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App