×

সারাদেশ

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ট্রাফিক সার্জেন্টের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২১, ০৯:১১ এএম

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ট্রাফিক সার্জেন্টের মৃত্যু

নিহত সার্জেন্ট ফয়ছাল মামুন। ফাইল ছবি

গাইবান্ধা শহরের পুরাতন জেলখানা মোড়ে নির্মাণাধীন ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাকের তিনতলায় বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্ট তারে জড়িয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ফয়ছাল মামুনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (১ জুন) গভীর রাতে এঘটনা ঘটে। নিহত ফয়ছালের বাড়ি দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্ট তার ঘেঁষে পুরাতন জেলখানা মোড়ে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন পুলিশ ব্যারাকের তিনতলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য গত দুইদিন ধরে রড বিছানোর কাজ করছিল শ্রমিকরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ভবনের তিনতলায় উঠেছিল ট্রাফিক সার্জন ফয়ছাল মামুন। অসাবধানতা বশত বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্ট তারের কাছাকাছি গেলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং তার দেহে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎ বিভাগকে খবর দেওয়া হলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখনও ফয়ছালের দেহে আগুন জ্বলছিল। খবর পেয়ে গাইবান্ধা দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে বিদ্যুতের তার থেকে সার্জেন্ট ফয়ছালের লাশ উদ্ধার করে। পরে তার মৃতদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় ।

ট্রাফিক পুলিশের একটি সুত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলা ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সার্জেন্ট ফয়ছাল মামুন সারাদিনের ডিউটি শেষে ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাকের নিচতলায় তার কক্ষে ফেরেন । তার মোবাইলে কল আসলে তিনি কথা বলতে বলতে নির্মাণাধীন ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাকের ৩য় তলায় উঠেন। তিনি বিদ্যুতের সেই তারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে হাত লাগালে তার শরীরে আগুন ধরে যায় এবং বিদ্যুতের তারে আটকে যান। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ট্রাফিক সার্জন ফয়ছালের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা শহরে বিদ্যুতের তারগুলো শুধু পুলিশ বক্স নয় অধিকাংশ জায়গায় অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে সবাই সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়মনীতি কি আছে তারও একটা বিষয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই ভবনের উপরে উঠে ফয়ছাল কেনইবা এতো রাতে বিদ্যুতের তারের কাছাকাছি গেল, তাছাড়া বিদ্যুতের তার অনেক দুরে রয়েছে। বিষয়টা তদন্ত করে সবকিছু পরে বলা যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App