×

মুক্তচিন্তা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কারা শোরগোল পাকাচ্ছে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ১২:৩২ এএম

কদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৩ জুন থেকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা খুলে দেয়ার একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়টি ১৩ তারিখের দিকে দেশে করোনা সংক্রমণের বাস্তবতার ওপর নির্ভর করবে বলেও তিনি তখন জানান। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোভিড ১৯-এর কারণে বন্ধ করে দিতে হয়। আগস্ট মাস পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য যে পরিমাণে নেমে আসা প্রয়োজন ছিল তা না ঘটায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা সরকার ও বিশেষজ্ঞরা ভাবতে পারেননি। সেপ্টেম্বরের দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমে আসার পর ধারণা করা হয়েছিল অক্টোবরের দিকে খুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটিও তখন ঘটেনি। পরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের দিকে খোলার চিন্তাভাবনা ছিল। এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার জন্য অপেক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সেই অপেক্ষার সুযোগ দেয়নি। ফলে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির গড় নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর প্রস্তুতি ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে স্কুলগুলো খুলে দেয়ার। তারিখও ঘোষিত হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সরকারি নির্দেশ মোতাবেক খুলে দেয়ার জন্য সব প্রস্তুতিও গ্রহণ করছিল। কিন্তু মার্চ মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিম্নমুখী হওয়ায় সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা খুলে দেয়ার জন্য ১৩ জুন তারিখটি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ১৩ জুন শেষ পর্যন্ত ‘আনলাকি ১৩’ হয়ে যায় কিনা সেই সম্ভাবনাই দেখা দিয়েছে। দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সংক্রমিত হওয়ায় এরই মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করতে হয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় করোনা সংক্রমণ এখন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু এলাকাতেও করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। এই অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৩ তারিখে খুলে দেয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে না। এতেই স্পষ্ট হয় যে, ১৩ জুন তারিখের মধ্যে কাক্সিক্ষত সংক্রমণ গতি না দেখা গেলে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তারিখ আরো কিছুদিন পিছিয়ে দিতে পারে। এটি অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যথার্থ মনে করছে। আগে যদিও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তাগিদ ছিল, কিন্তু এবার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের পরিণতি ভারতে দেখে সবাই কমবেশি আতঙ্কিত। অধিকন্তু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং সংক্রমণের উচ্চগতি দেখে প্রায় সবাই করোনার ভয়াবহতা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠেছে। সে কারণে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বাড়তি কোনো আগ্রহ বা চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি নিয়ে নানা ধরনের ছবি ও পোস্ট সয়লাব হয়ে গেছে। এতে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে রাস্তায় বসে পড়ালেখা করার দৃশ্য দেখানো হচ্ছে, কিছু শিক্ষক ওয়াইট বোর্ড পেতে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর দৃশ্য দেখানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মানববন্ধনও করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে নানা রকম পোস্ট দেয়া হচ্ছে, সেটিকে সমর্থন জানিয়ে শেয়ারও করা হচ্ছে। এসব মানববন্ধন, রাস্তায় শ্রেণিপাঠ নেয়ার দৃশ্য এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে পোস্ট দেয়া ও শেয়ার করার কাণ্ডকীর্তি দেখে মনে হচ্ছে এমন ব্যাপক সংখ্যক ‘শিক্ষাদরদি’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাংলাদেশে হঠাৎ করে উদিত হয়েছে। এক বছরের অধিক সময় চলে গেছে তাদের এমন আকুতি কেউ দেখেনি বা শুনেনি। তখন কি তারা ঘুমিয়েছিলেন? দেশে যখন করোনার সংক্রমণ মানুষকে যথার্থ অর্থেই শঙ্কিত করছে তখন এরা কারা যাদের এমন লেখাপড়ার আকুতির প্রকাশ ঘটাতে দেখা যাচ্ছে! তারা যদি শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতে চান তাহলে রাস্তায় কেন? কেন বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতে গত এক বছর দেখা যায়নি? এখন যখন করোনা সংক্রমণ আগের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তখন তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার এমন দাবি ও আচরণ মোটেও স্বাভাবিক মনে হয়নি। গোটা বিষয়টি কোনো না কোনো মহলের বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য সাধনের বিষয় বলে মনে করার যথেষ্ট যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়। আর যারা সংক্রমণের এমন বিস্তার ও গতি-প্রকৃতি দেখার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার এমন সব দৃশ্য দেখাচ্ছেন তারা আসলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না, প্রকৃত অভিভাবকদের ইচ্ছার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিছু কিছু অঞ্চলে পরিচিতজনের কাছ থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করেছি তাতে বোঝা গেছে এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত কোনো দাবি বা আন্দোলন নয়। এটি সে অঞ্চলের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরিকল্পিত আয়োজন। তাদের সমর্থক পরিবারের ছেলেমেয়েদের কয়েকজনকে এসব মানববন্ধন ও শ্রেণিপাঠে জোগাড় করা হয়েছে। একইভাবে ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ার দিতে তারা তো আগে থেকেই ওস্তাদ! এক্ষেত্রেও তারা তাই করছে। তাদের এমন কাজ করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঠে নামানো। যদি কোনো আন্দোলন দেশে দাঁড় করানো যায় তাহলে তো পোয়াবারো। এছাড়া এই মুহূর্তে যেহেতু করোনা সংক্রমণ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আগ্রাসী তাই সত্যি সত্যি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুভূতিতে যথার্থ অর্থেই নাড়া দেয়া যাবে, দাগ কাটা যাবে। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি এবং আন্দোলন গড়ে তোলা সহজ হবে। সরকারবিরোধী এই মহলের হিসাব-নিকাশটি এমনই। তারা মনে করেন, তারাই বুদ্ধিমান, তারাই সবকিছু বোঝেন, তারাই মানুষের চোখ ফাঁকি দিতে পারেন। রাজনীতিতে তাদের যে মহৎ কোনো আদর্শ নেই, দেশপ্রেম নেই সেটি কেউ কেউ না বুঝতে পারলেও অনেকে জানেন এবং বোঝেন। সেটি তারা বুঝেও শিক্ষা নেন না- এটি তাদের রাজনৈতিক দলের আয়নাটি সামনে মেলে দেখা যায়। এবারো তারা তেমন একটি অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। যারা অপরাজনীতি করে তাদের চিন্তাভাবনা ও মস্তিষ্কে মানুষকে ধোঁকা দেয়া, অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া- এমনটি প্রাধান্য পায়। অথচ যারা দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি ভালোবাসার চর্চা করে, তারা জনগণের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। গত দেড় বছরে ওইসব ‘শিক্ষাদরদি’কে শিক্ষার্থীদের পাশে কিংবা অভিভাবকদের পাশে শিক্ষার সহায়তা নিয়ে কখনো কোথাও দাঁড়াতে দেখা যায়নি। জনগণের পাশেও তেমনটি ঘটতে দেখা যায়নি। এখন জটিল পরিস্থিতিতে শিক্ষার দাবি নিয়ে যা করছে তা মায়াকান্না এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড বলে প্রতিভাত হচ্ছে। গত বছর আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ ভোরের কাগজে ‘পাঠদান ও পরীক্ষা নিয়ে কটি প্রস্তাব’ শিরোনামে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে আমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ অবস্থাতেও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন অধ্যায় থেকে প্রশ্ন নির্বাচনের মাধ্যমে পাঠ্যবই পড়ে নিজেদের মতো করে লিখে জমা দেয়ার একটি প্রস্তাব করেছিলাম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পড়া এবং নিজে নিজে বোঝার চেষ্টা থেকে যেটুকু অর্জন করা সম্ভব তা সেই সময়ের জন্য দরকারি বলে মনে করেছি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে ফলদায়ক পদ্ধতি বলে এখন বলা হচ্ছে। সে কারণে এ বছর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে যতটা সম্ভব ব্যস্ত রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী কমবেশি অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে গিয়ে পাঠ্যবই পড়ার চেষ্টা করছে। যদিও এটি যথেষ্ট নয়, তবুও করোনার এমন মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রাখা এবং বই-পুস্তকের সঙ্গে যুক্ত রাখার ক্ষেত্রে মোটেও কম উপযোগী নয় বলে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। গত বছর করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্র ছিল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলো। গ্রামাঞ্চলে করোনার প্রাদুর্ভাব খুব একটা ঘটেনি। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছু কিছু শ্রেণিপাঠ নেয়ার উদ্যোগ নেয়া যেত। তখন বিশেষজ্ঞরা সরকারকে সে ধারণা দেননি। সে কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঝুঁকি বিবেচনা থেকে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চিন্তা করেনি। শহরের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই অনলাইনে পাঠদানের চেষ্টা করেছে। এছাড়া সংসদ টিভিতে প্রচারিত শ্রেণিপাঠ শহরের শিক্ষার্থীদের সহায়ক হয়েছে। গ্রামের শিক্ষার্থীরা অনলাইন এবং সংসদ টিভির পাঠ কতটা নিতে পেরেছে সেটি নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। সে কারণে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। এ বছর যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার উদ্যোগ ছিল তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধরে নিয়েছিল যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত কারিকুলাম সম্পন্ন করে এগিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু করোনা এখনো সেই সুযোগ দেয়নি। অধিকন্তু এখন করোনার সংক্রমণ দেশে অনেক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেয়ার বিষয়টি ১৩ তারিখে নাও ঘটতে পারে। এখনো দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ তেমন একটা ঘটেনি। বিশেষত বেশ কিছু এলাকার গ্রামাঞ্চলে এখনো করোনার সংক্রমণ নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারে। তবে সেটি করতে গেলেও অনেকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে চিত্রায়িত করতে পারে। তারপরও পরীক্ষামূলকভাবে এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাক্রম ধীরে ধীরে চালু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App