×

জাতীয়

আট বছরে ভারতে ৫০০ নারীকে পাচার করেছে ‘বস রাফি’: র‌্যাব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ০৯:২৮ পিএম

আট বছরে ভারতে ৫০০ নারীকে পাচার করেছে ‘বস রাফি’: র‌্যাব

র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ভারতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের তথ্য পাওয়া যায়। এই চক্রের অন্যতম মূলহোতা ঝিনাইদহের আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ঝিনাইদহ ও যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য তিনজন হলেন, যশোরের সাহিদা বেগম ওরফে ম্যাডাম সাহিদা, ইসমাইল সরদার ও আবদুর রহমান শেখ। র‍্যাব দাবি করছে, আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি (৩০) গেল আট বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পতিতাবৃত্তির কাজে পাচার করা হয়। মানবপাচারকারী এ চক্রের সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ভারতে নারী পাচার চক্রের মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম আট বছর ধরে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল ইসলাম স্বীকার করেন, তিনি গত পাঁচ বছরে পাঁচ শতাধিক নারীকে বিভিন্নভাবে ভারতে পাচার করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতারণার ফাঁদ পেতে তরুণীদের পাশের দেশ ভারতে পাচার করত এই চক্র। দেশি-বিদেশি ৫০ জন সংঘবদ্ধভাবে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।

গ্রেপ্তার বস রাফির শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে প্রথমে তিনি ট্যাক্সি ড্রাইভার ও পরে হোটেলে রিসোর্ট কর্মচারী ও কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত দুই বছর আগে টিকটকের হৃদয়ের সঙ্গে বস রাফির পরিচয় হয়। এরপর টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণীকে ভারতে পাচার করেন তিনি।

খন্দকার আল মঈন জানান, বস রাফির সহযোগী টিকটক হৃদয় বাবু অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীদের মাধ্যমে একটি গ্রুপ তৈরি করেন। তরুণীদের মডেল বানানোর প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাঁদের বিভিন্ন সুপার মার্কেট ও পাশের দেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আশরাফুলের সহযোগিতায় বিদেশে পাচার করত ওই গ্রুপ।

সম্প্রতি ভারতে কয়েকজন মিলে এক বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টির অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় নামে ঢাকার মগবাজার এলাকার এক বাসিন্দাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই রিফাদুলই মেয়েটিকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কথা বলে বছরখানেক আগে ভারতে নিয়ে যান বলে তাঁর পরিবার জানায়। এ ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App