×

সারাদেশ

তিনদিন পর রাশিদার লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ১০:২৪ পিএম

তিনদিন পর রাশিদার লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর রাশিদার লাশ ফেরত দেয়া হচ্ছে। ছবি: ভোরের কাগজ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নারী রাশিদা খাতুনের (৪০) লাশ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ। মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তার লাশ ফেরত দেওয়া হয়।

এর আগে গত শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথুয়া সীমান্তের ১৫১/৭ (এস) সীমানা পিলার সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকার একটি ধানখোলার পাশে বাংলাদেশি নারী রাশিদা খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হোগলবাড়িয়া থানায় খবর দেওয়া হলে ওই থানার পুলিশ রাশিদার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভারতের কৃষ্ণনগর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় সেখানকার পুলিশ।

এদিকে তার লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফের কাছে চিঠি দেয় বিজিবি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঘটনার তিনদিন পর মঙ্গলবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে রাশিদা খাতুনের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।

বিকেলে সীমান্তের ১৫১/১৪ (এস) সীমানা পিলার সংলগ্ন ভারতের চর মেঘনা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত প্রাগপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আমাজাদ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন দৌলতপুর থানার এসআই জিয়াউর রহমান জিয়া। বিএসএফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চর মেঘনা বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বিমল কুমার। সঙ্গে ছিলেন হোগলবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন ও করিমপুর থানার ওসি পিন্টু সরকার। পতাকা বৈঠক শেষে রাশেদা খাতুনের লাশ গ্রহণের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।

স্বামী পরিত্যক্তা রাশিদা খাতুনের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোরেরপাড়া সীমান্ত এলাকায়। তিনি ওই এলাকার কৃষক আব্দুল কাদেরের মেয়ে। গত ২৮ মে সকালে বাড়ি থেকে বের হন রাশিদা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরেরদিন সীমান্তের ওপার থেকে এক বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সেটি রাশিদা খাতুনের লাশ বলেই শনাক্ত করা হয়।

সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার মহামারির মাঝেও দৌলতপুর সীমান্ত পথ দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ সেদেশে যাচ্ছে আবার অনেকে ফিরেও আসছে। রাতের অন্ধকারে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত এলাকার মাদক চোরাচালানীরাসহ মানুষজন অবাধে ভারতে যাওয়া-আসা করায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। সম্প্রতি কুষ্টিয়াসহ ভারতীয় সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করা হলেও তা কার্যকর না হওয়ায় দেশে করোনা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App