×

চিত্র বিচিত্র

বিড়ালকে হত্যা: কুকুরকে শাস্তি দিতে ১১ বিচারকের বৈঠক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ১২:১৪ পিএম

বিড়ালকে হত্যা: কুকুরকে শাস্তি দিতে ১১ বিচারকের বৈঠক

ফাইল ছবি

সমাজে যে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে তার জন্যে আইন-কানুনের রক্ষক ও তার দেখা শোনা করার জন্যে সঠিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু প্রাণীদের জন্যে নেই কোনো বিচার বা আইন। এটা কতটা সঠিক আর কতটা ভুল সেটা বিচার্য সত্যিই। খবর কলকাতা ২৪।

কিন্তু এমন এক সময় ছিল যখন সমাজে বিচারব্যবস্থাকে মাথা ঘামাতে হয়েছে এই প্রাণীদের জন্যে। কুকুরের হাতে বিড়ালের মারা যাওয়ার ঘটনা খুব সাধারণ। তবে একসময়ে সমাজের বিচারব্যবস্থা নাক গলিয়েছিল।

এটি হয়েছিল ফ্রান্সে । ১৯২১ সালে এক কুকুরের বিরুদ্ধে এক বিড়াল হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। ডর্মি নামক সেই কুকুরটির উপর ছিল অন্তত ১৪ টি বিড়ালকে খুনের অভিযোগ।

জানা গেছে যে যে বিড়ালটিকে খুনের পর আদালতে ওই কুকুরটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার নাম ছিল সানবিম। সানবিম আসলে ছিল একটি পার্সি বিড়াল। সানবিমের খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তারই মালিক এবং মালিকের বাড়ির আশেপাশের ব্যক্তিরা।

সানবিমকে তাড়া করে তার ঘাড়ে নাকি একটি ক্যানাইন বসিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে ওই কুকুরটির বিরুদ্ধে। সানবিমকে বাঁচাতে গিয়ে নাকি আবার আক্রান্ত হয়েছিলেন তার মালিকও।বিড়ালের মালিক আদালতে নাকি মামলা করেছিলেন ডর্মি বিরুদ্ধে। আবার জানা গেছে যে একেবারে ১১ জন বিচারকের এজলাসে শুনানি চলে ওই মামলার। দু’পক্ষের আইনজীবীর দীর্ঘ বাদানুবাদের পর শেষে ১ জন বিচারক চেয়েছিলেন ডর্মির মৃত্যুদণ্ড। গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে তাকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু বাকি ১০ বিচারকের এইদিকে রায় ছিল না। বেশির ভাগ বিচারকের রায় অনুযায়ী অবশেষে কোনো দণ্ড পায়নি ডর্মি। শুনানির দিন সকালে খাবার খেয়ে মালিক ইটনের সঙ্গে আদালতে (court) গিয়েছিল ওই কুকুরটি। ওই মামলা নিয়ে সম্পূর্ণ অবিচলিত ছিল ডর্মি। শেষ পর্যন্ত কোনো শাস্তি না হওয়ার কারণ ছিল যে মুক্ত অবস্থায় কোনো প্রাণী অন্য মুক্ত প্রাণীকে আক্রমণ করলে তার দায় বর্তায় না অন্য কারুর উপর। বিচার শেষে মালিকের সঙ্গে বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App