নাইজেরিয়ায় মাদরাসা থেকে প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থী অপহরণ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ১১:৩৬ এএম
নাইজেরিয়ায় গতকাল প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে দূবৃত্তরা।
নাইজার প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, রবিবার তেজিনা শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। কমপক্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। তবে অন্য প্রতিবেদনগুলোতে এই সংখ্যা প্রায় ২০০ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
মুক্তিপন আদায়ের জন্য অপহরণের ঘটনা ওই এলাকায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জামফারা স্টেটের জাঙ্গেবে এলাকার একটি আবাসিক স্কুল থেকে প্রায় ৩০০ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারীরা। তাদের বেশিরভাগকেই অবশ্য পরে মুক্তি দেয়া হয়েছিল।
সবশেষ ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দিস ডে নামে একটি খবরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, অস্ত্রধারীরা মোটরসাইকেলে করে পুরো শহর চষে বেড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। মানুষজন তাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্কুলটিতে ছয় বছর থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ছেলে শিশুরা এক সাথে পড়তো।
কাদুনায় গ্রিনফিল্ড ইউনিভার্সিটির নারী শিক্ষার্থীদের হোস্টেলের সামনে পাহারায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
কর্তৃপক্ষ বলছে যে, হামলায় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং এতে একজন মারা গেছে। এছাড়া গাড়িতে করে ঘুরছিলেন এমন বেশ কিছু মানুষকেও অপহরন করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ায় থাকা বিবিসির প্রতিবেদক মায়েনি জোনস বলেন, গত কয়েক মাস ধরে মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
তেজিনায় এই হামলা এমন দিনে ঘটলো যার আগের দিন প্রতিবেশী কাদুনা প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জনকে মুক্তি দেয়া হলো।
তেজিনা কাগারা শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সেখানেও গত ফেব্রুয়ারিতে ২৭ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল।
বিবিসির প্রতিবেদক বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে শিক্ষার্থী অপহরণের কমপক্ষে ৬টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮০০ এর বেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের অপহরণ করা হয়।
২০১৪ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চিবক শহরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারাম ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তবে সাম্প্রতিক হামলাগুলো সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর কাজ বলে ধারণা রয়েছে।