বিশ্বের সব দেশের মতো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা) আয়োজিত আলোচনাসভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মানস সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার ‘ধুমপান থেকে মাদকাসক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিশিষ্ট উপস্থাপন শিল্পী রেহানা পারভীন ও মানস সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহীদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র আর ভোটার আইডি কার্ড এক বিষয় নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়। পৃথিবীর সবদেশে এই জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি নির্বাচন কমিশন করে না। তারা শুধু ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশে যখন শুধু ভোটার তালিকা তৈরীর প্রকল্প ছিল, তখন সেটি যৌক্তিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। এখন যখন ভোটার তালিকা নয়, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হচ্ছে, তখন পৃথিবীর সব দেশের মতো এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকাই যুক্তিযুক্ত। কারণ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সব তথ্য-উপাত্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্টও দেয়। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট দেয়। তাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। সুতরাং এক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই সিদ্ধান্ত।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য সরকার সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। তার পছন্দের হাসপাতাল ও ডাক্তারদের মাধ্যমেই তিনি চিকিৎসা পাচ্ছেন। সুচিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি যে শারীরিক সমস্যাগুলোর চিকিৎসা ২০ বছর থেকে নিচ্ছেন, সেগুলোর সমস্ত চিকিৎসা দেশেই আছে। বিদেশে নেয়ার দাবিটা অমূলক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, তাকে কারাগারে না রেখে প্রধানমন্ত্রী যে বাইরে রেখেছেন এজন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধুমপানমুক্ত করা সরকারের লক্ষ্য। সরকারের নানা পদক্ষেপে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে। দেশের আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে ধূমপান দণ্ডনীয় অপরাধ। ধূমপানের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জনসচেতনতার জন্য মন্ত্রী ‘মানস’সহ ধূমপানবিরোধী সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান।