×

সারাদেশ

পূর্ণিমার জোয়ারে রবিশস্য ক্ষেত প্লাবিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২১, ০৪:৩৪ পিএম

পূর্ণিমার জোয়ারে রবিশস্য ক্ষেত প্লাবিত

জোয়ারে উঠতি রবি মৌসুমে শাকসবজি এবং আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ছবি: ভোরের কাগজ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরে দমকা বাতাস ও বর্ষণ এবং পূর্ণিমার জোয়ারে উঠতি রবি মৌসুমে শাকসবজি এবং আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ফসলের মাঠ নদীতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ডুবে থাকায় আউশ ধানের বীজতলাগুলো নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে এমন শঙ্কায় কৃষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বেতাগী উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে অর্ধেক জমিতে বীজতলা থেকে চারা তুলে আউশ ধানে মাঠে রোপণ করেছে কৃষক। যার মধ্যে ৭৭৫ হেক্টর জমির আউশ ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণকৃত আউশ ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।

এ ছাড়াও ৫২০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি ও ৪০০ হেক্টর জমিতে বীজ বাদাম, ১০৫ হেক্টর কলা, ১১০ হেক্টর জমিতে পান, ৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁপে, ৪৫ হেক্টর জমিতে ঢেড়শ, ৫৭ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমাড় এবং ৭০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত পটল ডুবে আছে পানির নিচে। এরই মধ্যে এসব গ্রীষ্মকালীন ফসলের এক তৃতীয়াংশ তুলে নিলেও বেশির ভাগ ফসল মাঠে ছিল। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ও পূর্ণিমা জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন শেষ হয়েছে।

হোসনাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের কৃষক বশির হাওলাদার জানান, জোয়ারের নোনা পানিতে তার মরিচ ক্ষেতের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ গাছে পচন ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাদাম, ডালসহ অন্যান্য রবি ফসলের।

সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের কৃষক আজাদ উদ্দিন জানান, রবিশস্য উৎপাদনের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের কারণে তাদের সর্বনাশ হয়েছে। এবার মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে পাঁচ একর জমিতে মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্যের আবাদ করেছেন। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগেই ঘূর্ণিঝড় আর পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ওইসব ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন সবজিতে দীর্ঘসময় পানি জমে থাকলে পঁচন ধরবে। দুই তিন দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে পানি নেমে না গেলে ফসলের পঁচন ধরে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে এ উপজেলার ফসলের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনার উপর প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App