শীর্ষ হেফাজত নেতাদের দুর্নীতির তথ্য চেয়েছে দুদক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২১, ০৮:৫৭ পিএম
হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ শীর্ষ অর্ধশাতিক নেতার বিরুদ্ধে সংগঠনের তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। এরই অংশ হিসেবে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে শীর্ষ নেতাদের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সব ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব নেতাদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) জানিয়েছেন দুদক সচিব ড. আনোয়র হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের গোয়েন্দারা যাচাই-বাছাইয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। এরপর কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৭ মে দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। দলের বাকি সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ ও মো. সাইদুজ্জামান এবং উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান।
হেফাজতের শীর্ষ ওই নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সংগঠনের তহবিল, বিভিন্ন মাদরাসা, এতিমখানা ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানের অর্থ এবং ধর্মীয় কাজে দেশে আগত বৈদেশিক সহায়তা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। এমন অভিযোগ সামনে রেখে শুরু হয়েছে দুদকের অনুসন্ধান। গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হুসাইন কাসেমী, মামুনুল হকসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে। সেখানে তাদের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। যার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেটি আমলে নিয়েছে কমিশন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি টাকার অস্তিত্ব পেয়েছে ডিবি।
দুদকের তালিকায় হেফাজতে ইসলামের অর্ধশত নেতার নাম এসেছে।