×

জাতীয়

বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২১, ০৮:৫৮ এএম

বুধবার দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে প্রবল ঘুর্ণিঝড় ‘যশ’। সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার শঙ্কা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ পৌঁছে গেছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের আড়াই শ কিলোমিটারের মধ্যে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আর পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলীয় জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে ছয় ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ার প্লাবিত হতে পারে।

এরই মধ্যে ঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকার বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচেও পানি ঢুকছে। বাঁধ না থাকা কিছু এলাকা এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বেড়েছে।

যশের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনেও ঢুকে পড়েছে। সুন্দরবনসহ বিভিন্ন নদী-খালে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট পানি বেড়েছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলেপল্লীগুলোর বেশির ভাগ এলাকায়ই পানি ঢুকেছে। বনের কোনো কোনো অংশ দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে ডুবেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App