×

মুক্তচিন্তা

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বিশ্বে সুবাতাস বইয়ে দেবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২১, ১২:১০ এএম

১১ দিন ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের কাবু করতে পারেনি। বড় ধরনের প্রতিঘাত হামাসের দিক থেকে শুরু হওয়ায় বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বাধ্য হন যুদ্ধ বিরতি মেনে নিতে। মধ্যস্থতা অবশ্য করেছে মিসর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম দিকে ইসরায়েলের আক্রমণকে পূর্বসূরিদের মতো সমর্থন করলেও নিজ দলের অভ্যন্তর থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। মার্কিন কংগ্রেস এবং সিনেটও জো বাইডেনকে সমর্থন করেনি। ফলে তিনি মত পাল্টাতে বাধ্য হন। জো বাইডেনের নীতির এই পরিবর্তন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দানের সংকেত প্রদান করে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করে। হামাসের একজন নেতা অবশ্য একদিন আগেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তখন অনেকের কাছেই বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হয়েছিল। যেখানে ইসরায়েল হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করার হাঁকডাক দিয়ে আসছিল, গাজায় যে বর্বরোচিত ইসরায়েলি হামলা চলছিল সেটির মূলে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার কথা উচ্চারিত হচ্ছিল। সেখানে হামাসের একজন নেতা একদিন আগেই ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেবে সেই ধারণা বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশ করার মূলে ছিল- ইসরায়েল টের পেয়েছিল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে গেলে নিজেরাও নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থা বুঝতে পেরেই ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কেননা এরই মধ্যে হামাসের রকেট আক্রমণে ২ জন শিশুসহ ১২ জন ইসরায়েলি মারা গেছে, হামাসের রকেট ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ভেদ করে খোদ রাজধানী তেল আবিবে গিয়ে আঘাত হেনেছে। হামাসের এই রকেট হামলা কেবল শুরু হয়েছে। এটি অব্যাহত রাখার মজুত তাদের হাতে রয়েছে- এমন তথ্য ইসরায়েলের কাছে চলে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নড়েচড়ে উঠতে বাধ্য হলেন। ১১ দিন আগে গাজায় তার বোমাবর্ষণ করার উদ্দেশ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরে তার বিরুদ্ধে যেসব সমালোচনা ও বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান ছিল তা থেকে সাধারণ ইসরায়েলিদের দৃষ্টি হামাস তথা ফিলিস্তিনিদের দিকে সরিয়ে নেয়া। আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা ছিল ইসরায়েলিদের নতুন করে গাজায় আক্রমণ শুরু করার অজুহাত। এই আক্রমণে গাজার বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছিল। ২৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এর মধ্যে শিশু ৬৬ ও নারী কমপক্ষে ৩৯ জন। আহত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫৩৮ জন। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তবে ইসরায়েলের এই আক্রমণে করোনার বৈশ্বিক এই সংকটময়কালে গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ইসরায়েলের এমন হামলাকে বর্বরোচিত বলে গণতান্ত্রিক মহল আখ্যায়িত করেছিল। ইউরোপের সব দেশেই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি এবং ইসরায়েলের প্রতি কঠোর সমালোচনা, মিছিল, সভা-সমাবেশ বেশ জোরদার হয়ে উঠেছিল। এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতেও ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা পরিলক্ষিত হয়। ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষ এখন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে পৃথিবীর বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই গভীর সহানুভূতি লাভ করছে। অন্যদিকে পরাক্রমশীল ইসরায়েল সবারই সমালোচনার মুখে পড়েছে। অতীতেও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লক্ষ্য করা গেছে। তবে এবার ইসরায়েলি হামলাকে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই যেভাবে জনমত ভিন্নভাবে নিয়েছে তা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। সে কারণেই মার্কিন ডেমোক্রেট দল, সিনেট ও কংগ্রেসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন প্রেসিডেন্টেকে অবস্থান নিতে বাধ্য করেছেন। জো বাইডেন তাই তার আগের বিবৃতি ও ইসরায়েলি সমর্থন থেকে সরে এসে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা উচ্চারণ করেন। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাস এখন অনেক বেশি সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি। হামাসকে উগ্রপন্থায় পরিচালিত হতে বাধ্য করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের ভূমিকা গত ৭০ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সংকট সৃষ্টির মূলে কাজ করছে এটি সবারই জানা বিষয়। ১৯৪৮ সালে ইউরোপ থেকে বিতাড়িত এবং এই অঞ্চলে আগে থেকে বসবাসকারী ইহুদিরা ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠন করে। সমর্থন পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পর্যন্ত ইসরায়েলকে সমর্থন দান করে এসেছে। কিন্তু এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। জেরুজালেম যদিও ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ভূমি। কিন্তু ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পূর্ব জেরুজালেমে মুসলমানদের বসবাস ইসরায়েলি প্রভাব বিস্তার এবং ইসরায়েলের প্রতি বড় বড় রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দেয়ার কারণে দিন দিন জটিল হয়েছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড দখলের জন্য আক্রমণ, উৎখাত অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারকে গোড়া থেকেই বাধাগ্রস্ত ও অস্বীকার করে এসেছে। গত ৭০ বছর ধরে ফিলিস্তিনিরা রাষ্ট্রহারা এক জাতি হিসেবে গাজা উপত্যকা, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে বসবাস করে আসছে। অথচ ইসরায়েল পাশেই রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী জাতীয় রাষ্ট্রেই শুধু পরিণত হয়নি, এই অঞ্চলে সামরিক শক্তিতেও সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে আসছে। ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে আরব দেশগুলোর মধ্যে নানা ধরনের বিভাজন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ইসরায়েলিরা অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো প্রথমদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে তাদের অবস্থানে চিড় ধরতে থাকে। এটি এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনেকেরই সহানুভূতি থাকলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে আরব রাষ্ট্রগুলো দ্বিধাবিভক্ত, দোদুল্যমান এবং অনেকটাই নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্কের নানা সমীকরণ দেশগুলোকে পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতায় দাঁড় করিয়েছে। এই সুযোগ ইসরায়েল এতদিন নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিন্নতা, অভাব, দূরত্ব, নানা ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ, আঞ্চলিক উত্তেজনা ইত্যাদি বেড়ে উঠেছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে উগ্র মতাদর্শিক নানা শক্তির উত্থান বেশ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এই এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগঠিত শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে থাকে। ইয়াসির আরাফাতের জীবদ্দশায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনকে নৈতিক এবং অন্যান্যভাবে সহযোগিতা প্রদান করে এসেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপীয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতনের পর ফিলিস্তিন আন্দোলন কিছুটা সংকটে পড়ে। তবে এরই মধ্যে সেটি কাটিয়ে ওঠার লক্ষণও দেখা যায়। ইরান হামাসের পাশে দাঁড়ায়। রুশ প্রসিডেন্ট পুতিনের বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, রাশিয়াও হামাসের সমর্থনে কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্ক এবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ফলে হামাসের গোলার রসদ জমা হওয়ার বেশ কিছু চ্যানেল তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। হামাসের হাতে ৩ হাজার রকেট থাকার খবরটি ইসরায়েলকে শঙ্কিত করেছে। ইসরায়েল এখন যুদ্ধবিরতি না করে চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে যে বিপদ দেখছিল তাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সামনের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশেষে ইসরায়েলের পাশে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের লড়াই নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য নয়। এ বিষয়টিই এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করতে চায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করলে অনেক আগেই এই অঞ্চলে এত ফিলিস্তিনির জীবন ইসরায়েলিদের হাতে যেত না, এত রক্তপাত ঘটত না, এত ফিলিস্তিন জনসাধারণ রাষ্ট্রহারা হয়ে দেশে দেশে আশ্রয় খুঁজত না। ফিলিস্তিনি জাতি দীর্ঘ সময় ধরে শুধু রাষ্ট্রহারার যন্ত্রণাই ভোগ করেনি, ইসরায়েলিদের জায়নবাদের নির্মমতার স্বীকার হয়েছে। এখন হামাসের পেছনে যখন সামরিক শক্তিগুলো কোনো না কোনোভাবে সমর্থন দিচ্ছে তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বোধোদয় ঘটেছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের রকেট এসে পড়লে নিরীহ ইসরায়েলিদের প্রাণ যাবে। এতে ইসরায়েলিরা ক্ষুব্ধ হবে। ইসরায়েলিদের ক্ষুব্ধ করে নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বোঝাই যাচ্ছে ইসরায়েলিদের জীবনের মূল্য আছে কিন্তু ইসরায়েলি শাসক ও সেনাবাহিনীর কাছে ফিলিস্তিনিদের জীবনের কোনো মূল্য ছিল না। সে কারণেই তারা এত বছর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এভাবে একের এক হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে। ইসরায়েলের শাসক এবং সেনাবাহিনী জায়নবাদে দীক্ষিত। সে কারণেই তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তারা এমন বর্বরোচিত আক্রমণ করেছিল। এখন ফিলিস্তিনিদের যে রাষ্ট্র গঠনের কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন সেটি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা হবে তত নির্ভর করছে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সহাবস্থান। দুই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে মেনে নেবে, ফিলিস্তিনও ইসরায়েলকে মেনে নেবে- এটিই সমাধানের মূল জায়গা। তবে এক্ষেত্রে সীমানা নির্ধারণে ফিলিস্তিনিদের যে দাবি সেটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড পরবর্তী সময়ে ইসরায়েল দখল করে নিয়েছে। সেইসব দখলীকৃত ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের আত্মমর্যাদা এবং রাষ্ট্র হিসেবে বিকাশে বাধাগুলো দূর করে দেবে সেটিই এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত। ফিলিস্তিন তার স্বাধীন রাষ্ট্র ফিরে পেলে যেমনিভাবে জাতি হিসেবে বিকাশের সুযোগ পাবে, একইসঙ্গে এই অঞ্চলের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সহাবস্থানের মাধ্যমে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হবে, মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উঠবে নতুনভাবে উদিত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবস্থানকে নিয়ে। তাতে ইসরায়েল রাষ্ট্রও অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের সম্পর্ক নিয়ে বেড়ে ওঠার নতুন একটি বাস্তবতা খুঁজে পাবে। সেক্ষেত্রে ইসরায়েলের সঙ্গে অন্য দেশগুলোরও সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে কোনো বাধা থাকবে না। ইসরায়েল তেমন পরিস্থিতি স্বীকার করে নিলেই আগামীদিনের মধ্যপ্রাচ্য এবং গোটা বিশ্ব অনেকটাই ইতিহাসের এই দীর্ঘ কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারবে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App