×

চিত্র বিচিত্র

৭০০ বছরের রীতি, শিশুদের উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলাই উৎসব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২১, ০১:০৪ পিএম

৭০০ বছরের রীতি, শিশুদের উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলাই উৎসব

ছবি সংগৃহীত

৭০০ বছরের রীতি, শিশুদের উঁচু থেকে ছুঁড়ে ফেলাই উৎসব

বিংশ শতাব্দীতে এসেও এমন অনেক নিষ্ঠুর রীতি রয়েছে যা বদলানো যায়নি

সন্তানের মঙ্গল ভাবাই প্রতিটি মা-বাবার একমাত্র লক্ষ্য। তাদের দীর্ঘায়ুর জন্য তারা সবই করতে পারে এটা প্রাচীনকাল থেকেই আমরা পাচ্ছি প্রমাণ। বাচ্চাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার মতো কুপ্রথা থাকলেও অনেকটা সময় লেগেছে সেটার ক্ষতি বোঝাতে।

কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে এসেও এমন অনেক নিষ্ঠুর রীতি রয়েছে যা বদলানো যায়নি। ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে এক ঘৃণ্য প্রথা চলে আসছে সমাজে। সেই রীতিতে শিশুদের উঁচু জায়গা থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। ৭০০ বছর ধরে এই রীতি চলছে সেখানে। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোরের।

এর আগে ফ্রান্সের উত্তর স্পেনের কাসট্রিলো ডি মুরসিয়া শহরে শিশুদের উপর থেকে শয়তানের কু-প্রভাব কাটিয়ে দিতে সেখানকার বাসিন্দারা একটি উৎসব পালন করে। উৎসবের দিন প্রত্যেক নবজাতকের মা-বাবা তার শিশুকে একটি সাদা বিছানায় রেখে দেয়।

বিছানায় ছড়ানো গোলাপের পাপড়ির মধ্যে দিয়ে সদ্য জন্মানো থেকে শুরু করে এক বছর বয়সী শিশুদেরকে শোওয়ানো থাকে। এক পাদ্রী উৎসব চলাকালীন সময়ে শিশুদের শরীরের ওপর দিয়ে জোরে দৌঁড়ে যান।

এদিকে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে শিশুর মঙ্গল কামনায় ৩০ ফুট উঁচু থেকে শিশুকে ছুঁড়ে দেওয়া হয় নিচে। নিচের দিকে একটি বিছানার চাদর দুই প্রান্তে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে শিশুটির অভিভাবক। নিচে পড়া মাত্রই শিশুকে ধরে ফেলেন। শিশু জন্মের ২ মাসের মধ্যেই এই রীতি পালন করতে হয় তাদের।

এই রীতি মানলেই ওই শিশুরা নাকি থাকে সুস্থ। জনশ্রুতি আছে, এক সাধু আদেশ দিয়েছিলেন এই রীতি পালনের জন্যে। যেসব বাবা-মায়ের সদ্যজাত সন্তান মারা গিয়েছে তাদের পরবর্তী সন্তান যাতে সুস্থ থাকে তাই নাকি তারা এটা মানত। অদ্ভুতভাবে এরপর থেকেই মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমে গিয়েছে।

এই আচারটি তারা তাই মানেন তাদের সন্তানের দীর্ঘায়ুর কামনায়। এই রীতি করতে গিয়ে কোনো শিশু কখনো আহত বা নিহত হয়নি এটাই জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০০৯ সালে প্রথম মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে জেগে ওঠে। ভারতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন চাউল্ড টসিং বন্ধ করতে চায়। ২০১০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রীতি বন্ধ হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App