এআরবি ও বসুন্ধরার বড় ব্যবধানে জয়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ১০:৫৪ পিএম
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শনিবার এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলরক্ষক মাহমুদাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান বসুন্ধরা কিংসের কৃষ্ণা রানি সরকার
বাংলাদেশ নারী ফুটবল লিগে বিরতির পর গত ১৯ মে ফিরেই বড় জয় পেয়েছিল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব (এআরবি)। শনিবার এআরবি ও বসুন্ধরা কিংস দুদলই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। এআরবি ১১-০ গোলের ব্যবধানে কাচিঝুলি স্পোর্টিং ক্লাবকে ও বসুন্ধরা কিংস ৬-০ ব্যবধানে হারিয়েছে এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে। বসুন্ধরার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন কৃষ্ণা রানি সরকার। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে ১০ গোল করলেন বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড।
এবারের লিগকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ থেকে ২০ মার্চ সময়ে দলগুলোকে গুছিয়ে ওঠার সুযোগ দেয় বাফুফে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের স্কোয়াড সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। দলবদলে ঘর গুছিয়েছিল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাবও। মাঠের খেলায় এবার তারই ফল পাচ্ছে এআরবি। আগের খেলায় নাসরিন একাডেমরি বিপক্ষে বড় জয় পায় তারা। সেই ধারাবাহিকতা শনিবারও কাচিঝুলির বিপক্ষে ধরে রেখেছে এআরবি। তবে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে যেন আরো ভয়ঙ্কররূপে দেখা দিয়েছে তারা। কাচিঝুলিকে দাঁড়াতেই দেয়নি এআরবি। অন্য ম্যাচে বসুন্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে হারায় ৬-০ গোলে। বসুন্ধরা কিংসের পক্ষে কৃষ্ণা রানি সরকার ৭, ১৬ ও ৫৬ মিনিটে তিনটি, শামসুন্নাহার জুনিয়র ৫৪ ও ৫৯ মিনিটে দুটি এবং মারিয়া মান্ডা ৮৯ মিনিটে একটি গোল করেন।
মার্চের ৩১ তারিখ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল লিগের এবারের আসর। করোনা ভাইরাসের কারণে ৪ এপ্রিল সূচি স্থগিত করা হয়। এ পর্যন্ত নারী ফুটবল লিগের মোট তিনটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বপ্রথম ২০১১ সালে শিরোপা জিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য সালমা খাতুন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আসর। যেখানে ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী। আগের আসরেও ঢাকা মোহামেডান রানার্সআপ হয়েছিল। শিরোপাজয়ী দলের অং চিং মারমা টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। সর্বশেষ ২০২০ সালের টুর্নামেন্টে বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা ট্রফি জিতে।