অ্যান্টার্কটিকায় ভেঙে পড়া হিমবাহের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও!
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২১, ০৯:৪১ এএম
উষ্ণায়নের প্রভাবে বিশালাকার ভাঙন দেখা দিল বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহতে। আর এর প্রভাবে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে সমুদ্রের জলস্তর। সঙ্কটে পড়তে পারে ভারতের দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিশালাকার উপকূলবর্তী এলাকা।
আইসবার্গ A-76-এ বিশাল ভাঙনের ছবি শেয়ার করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে সেই বিশাল বিচ্ছিন্ন অংশের ছবি।
আন্টার্কটিকার রোন আইস শেল্ফের পশ্চিম দিকে হিমবাহের ভাঙন হয়। এখন মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেই বিশাল ভূমি ওয়েডডেল সাগরে ভাসছে।
চাঙড়টির আকারও নেহাত কম নয়। এটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার। প্রস্থে ২৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ নিউ ইয়র্কের লঙ আইল্যান্ডের চেয়েও এটি বড়।
[caption id="attachment_285113" align="alignnone" width="993"] উষ্ণায়নের প্রভাবে আন্টার্কটিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বরফ ভাঙন[/caption]উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহের এই অংশে বরফ গলে গিয়েই এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও গত বছর আইসবার্গ A-68A নামে একটি বরফের বিশাল ভূমি বিচ্ছিন্ন হয়েছিল অ্যন্টার্কটিকায়। এতদিন এটিই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান বরফের ভূমি।
পরিবেশবিদদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্রমেই গলছে দুই মেরুর হিমবাহের বরফ। আর সেই হিমবাহের বরফ গলা জল মিশছে সমুদ্রে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের জলস্তর। আপাতভাবে এই বৃদ্ধি সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে এর প্রভাব হতে পারে ভয়ানক। সমুদ্রের পানিস্তর থেকে খুব বেশি উঁচু নয়, এমন স্থান ধীরে ধীরে জলমগ্ন হতে পারে। ফলে বিশ্বের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে সংকটের পরিস্থিতি আসাটা অস্বাভাবিক নয়। পরিবেশবিদদের এই তালিকায় রয়েছে ভারতের দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশের মতো এলাকাও।