×

অর্থনীতি

বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম, কমেছে মাংস ও সবজির দাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২১, ০৩:১৪ পিএম

বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম, কমেছে মাংস ও সবজির দাম

মাংস ও সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম

বাজারে ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া মাংস ও সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম। মানভেদে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে ডিমের দাম। শুক্রবার (২১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। বাজারে সর্বনিন্ম ৫ কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। একইভাবে ২০০ টাকা পাল্লায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। চীন থেকে আমদানি করা রসুন রাজধানীর বাজার গুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা কেজিতে। তবে দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। রসুন, আলু এবং ডিমের সরবরাহ কম হওয়ায় আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছেন। একদিকে করোনা অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বাজারে শুধু পেঁয়াজ কিংবা রসুন নয়, বাজারের অন্যতমও প্রয়োজনীয় সবজি আলুর দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা পাল্লায় বিক্রি হওয়া সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পাল্লায়। অর্থাৎ, সাদা আলুর পাইকারি দাম ১৯-২০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকা কেজিতে। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালিতে। তবে চড়া দামে দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে, হালি প্রতি ৫০ টাকা করে রাখা হচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আদা ও দেশি রসুনের দাম ঠিক থাকলেও আজ শুক্রবার সকাল থেকে চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ফলে গতকালও ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা চায়না রসুন আজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১১৩ টাকায়।

যাত্রাবাড়ীর খুচরা ডিম বিক্রেতা জলিল বলেন, পাইকারি ডিমের ডজন ৯০ টাকা। অথচ ঈদের আগে এই ডিম বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা ডজন। তবে রামপুরা, মালিবাগের বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা ডজন।

তবে ঈদের পরপরই চড়া দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। গত তিনদিন আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া করলা, পটল, বরবটি, ধুন্দল, ঝিঙে, চিচিংগা, কাঁকরোল এবং শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে। আর ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি লাউ এবং জালি কুমরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা পিস। তবে একটু বড় ও ভালো মানের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এছাড়াও পাটশাক, পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা আটি।

ঈদকে কেন্দ্র করে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া গরুর মাংস ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ৬০০ থেকে ৬৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে আজ ৫৮০-৬০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫০-৯০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজিতে। ২৭০ টাকা কেজির পাকিস্তানি লাল কক বিক্রি হচ্ছে ২৩০-৪০ টাকা কেজিতে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App